ওবামা জমানার শেষের দিকে রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি প্রস্তাবে ভেটো দেওয়া নিয়ে দু’দেশের সম্পর্কে খানিক চিড় ধরে। সম্পর্ক শোধরাতে এ বার উদ্যোগী হলেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে আজ ফোনে কথা বলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের তরফে একটি বিবৃতিতে এ খবর জানানো হয়েছে।
ডিসেম্বরে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব পাশের সময় ভেটো দেওয়া থেকে বিরত থেকেছিল আমেরিকা। এমনিতে ইজরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক বরাবরই ভাল আমেরিকার। এর আগে বহু বারই রাষ্ট্রপুঞ্জের বিভিন্ন ইজরায়েল-বিরোধী প্রস্তাব পাশ হতে পারেনি শুধুমাত্র আমেরিকার ভেটোর জন্য। কিন্তু শেষ বার বাদ সাধেন বারাক ওবামা। তাঁর যুক্তি ছিল, ইজরায়েলের জন্য শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে পশ্চিম এশিয়ায়। ফলে কিছুটা হলেও সুর কাটে। ট্রাম্প তখনই ওবামা প্রশাসনকে একহাত নিয়ে বলেন, ‘‘২০ জানুয়ারির পরে সব কিছু এক থাকবে না।’’ সেই কথা মতোই কাজ করলেন তিনি। নেতানিয়াহুকে ফোন করে আগামী মাসে হোয়াইট হাউস আসার আমন্ত্রণও জানান। হোয়াইট হাউস সূত্রে জানানো হয়েছে, পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা নিয়ে কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্রনেতার। দু’দেশের সম্পর্ক যাতে আরও মজবুত হয়, কথা হয়েছে তা নিয়েও।
তবে ইজরায়েলের মার্কিন দূতাবাস তেল আভিভ থেকে জেরুজালেমে নিয়ে যাওয়া নিয়ে বিবৃতি দেয়নি হোয়াইট হাউস। প্রচারের সময় বিতর্কিত জেরুজালেমে দূতাবাস সরানোর প্রতিশ্রুতি দেন ট্রাম্প। আজকে সেই প্রসঙ্গ উঠেছিল কি না, তা জানা যায়নি। এখনও পর্যন্ত কোনও দেশেরই দূতাবাস জেরুজালেমে নেই। কারণ ইজরায়েলের মতো প্যালেস্তাইনও জেরুজালেমকে নিজের বলে দাবি করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy