সাদ হারিরি। ছবি: এএফপি।
ইরানের সঙ্গে বৈঠক। আর তার পরেই তিনি উড়ে গিয়েছিলেন সৌদি আরবে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সৌদি টেলিভিশনে ভেসে উঠল তাঁর মুখ। লেবাননের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি— ঘোষণা করলেন সাদ হারিরি।
এ হেন ঘটনাক্রমে রীতিমতো সন্ত্রস্ত লেবানন তথা পশ্চিম এশিয়া। ইরান-সৌদি যুদ্ধের গন্ধ পাচ্ছেন কূটনীতিকরা। যা সত্যি হলে হয়তো ভয়াবহ দাম চোকাতে হবে শাসকহীন লেবাননকে।
দীর্ঘদিন ধরেই দেশটা দু’ভাগে বিভক্ত। একটি শিবির চালায় ইরান সমর্থিত শিয়া হেজবুল্লা গোষ্ঠী। আর একটি শিবিরকে সমর্থন করে সুন্নি সৌদি আরব। যে গোষ্ঠীর নেতৃত্বে ছিলেন হারিরি। সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, ইরান ও তার শরিক দল হেজবুল্লা গোটা দেশের দখল নিয়েছে এবং প্রতিষ্ঠান-বিরোধী কাজ করে চলেছে দেশজুড়ে।
কিন্তু তার জেরেই কি পদত্যাগ? বেইরুটের আমেরিকান ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক হিলাল খাসান বলেন, ‘‘ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত। লেবানন হয়তো ভাবতেও পারছে না, এর ফলাফল কী হতে চলেছে।’’
আরও পড়ুন: সঙ্গী-সহ ধরা দিলেন পুইদমঁ
লেবাননের এই রাজনীতির লড়াইয়ে ২০০৫-এ খুন হয়েছিলেন হারিরির বাবা রফিক। দেশে যথেষ্ট প্রভাবশালী ছিলেন তিনিও। কিছু দিন আগে হারিরি জানিয়েছিলেন, বাবার মতো পরিণতি তিনি চান না। আজই সৌদি খবরের কাগজে দাবি করা হয়েছে, হারিরিকে নাকি খুনের করা চক্রান্ত হয়েছিল। কোনও পশ্চিমী গোয়েন্দা সংস্থা তাঁকে সতর্ক করে দেন। তার পরেই সৌদি পালিয়ে যান তিনি। যদিও লেবাননের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল আব্বাস ইব্রাহিমের দাবি, হারিরিকে খুনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে কোনও খবর তাঁদের কাছে ছিল না।
অতীতে রাজনৈতিক খুন, পড়শি দেশের সঙ্গে যুদ্ধ থেকে গৃহযুদ্ধ, সবেরই সাক্ষী হয়েছে লেবানন। গত ১২ বছর ধরে ফের বিষিয়ে উঠেছে দেশের রাজনীতি। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ফাদিয়া কিওয়ানে বলেন, ‘‘পরিস্থিতি দ্রুত বদলাচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দাঁড়িয়ে আছি আমরা। যুদ্ধ বাঁধতে পারে সৌদি-ইরানের মধ্যে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy