ওবামা-মোদীর হাত ধরে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক এক নতুন যুগে, মনে করছে ওয়াশিংটনও। —ফাইল চিত্র।
প্রেসিডেন্ট পদে মেয়াদ ফুরিয়ে এসেছে তাঁর। হোয়াইট হাউজ থেকে বিদায় নেবেন আর কয়েক মাস পরেই। গত আট বছরের শাসন কালে আমেরিকার জন্য কী কী অবদান রাখলেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা? তা নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরি হয়েছে আমেরিকায়। সেই ছোট্ট তথ্যচিত্রে পৃথিবীর অন্য কোনও দেশের প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্টের উপস্থিতি নেই। কিন্তু রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
যে তথ্যচিত্রটি তৈরি হয়েছে, সেটির দৈর্ঘ্য মাত্র পাঁচ মিনিটের। আন্তর্জাতিক মন্দার কবল থেকে মার্কিন অর্থনীতিকে বার করে আনার জন্য ওবামা কী কী করেছেন, বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কী কী বড় পদক্ষেপ নিয়েছেন, গোটা বিশ্বে আমেরিকার ভূমিকাকে কী ভাবে গৌরবান্বিত করেছেন, সে সব ছোট ছোট করে তুলে ধরা হয়েছে তথ্যচিত্রটিতে। তুলে ধরা হয়েছে বেশ কিছু সংবেদনশীল মুহূর্তও।
এই ছবিটিই দেখা গিয়েছে ওবামার সাফল্য নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্রে।
এই তথ্যচিত্রে প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে বিভিন্ন মার্কিন নেতার ছবি দেখা গিয়েছে। কিন্তু বৈদেশিক রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে এক মাত্র নরেন্দ্র মোদীর ছবি দেখা গিয়েছে ওই তথ্যচিত্রে। মোদী-ওবামা সাক্ষাতের একটি ফাইল ছবি তুলে ধরা হয়েছে সেখানে। অ-মার্কিন নেতাদের মধ্যে মোদী ছাড়া শুধু রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব বান কি মুনের উপস্থিতি রয়েছে তথ্যচিত্রটিতে।
বুধবার আমেরিকার ডেমোক্র্যাটিক কনভেনশনে তথ্যচিত্রটি দেখানো হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ওবামার ভাষণের ঠিক আগেই সেটি দেখানো হয়। প্রেসিডেন্ট ওবামার অনুগামীদের জন্য নয়, মূলত তাঁর সমালোচকদের এবং কোনও পক্ষেই না থাকা মার্কিন নাগরিকদের মন জয় করতেই প্রেসিডেন্ট ওবামাকে নিয়ে এই তথ্যচিত্র তৈরি হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই, ওবামার শাসন কালের সবচেয়ে ইতিবাচক দিকগুলিই তুলে ধরা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ওবামার সুসম্পর্ক তথা ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন যুগের সূচনা যে আমেরিকার কাছেও খুব ইতিবাচক ঘটনা, এই তথ্যচিত্রেই তার প্রমাণ মিলছে। বলছেন ভারতীয় কূটনীতিকরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy