এক মানবতাবিরোধী অপরাধীর ফাঁসির ঘটনা বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের সম্পর্ককে ফের জটিল করে দিল।
ফের শুরু হয়ে গেল সম্পর্কের টানাপোড়েন। পারস্পরিক দোষারোপ। একে অন্যের হাইকমিশনারকে তলব। পাল্টা তলব।
ঢাকায় আল বদর নেতা, মানবতাবিরোধী মতিউর রহমান নিজামির ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় দৃশ্যতই অসন্তুষ্ট পাকিস্তান প্রশাসন বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদে ডেকে পাঠায় সে দেশে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নাজমুল হুদাকে। আর তার প্রতিবাদে পাকিস্তানের হাইকমিশনার সুজা আলমকেও পাল্টা তলব করেছে ঢাকা।
ইসলামাবাদে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস-সচিব ইকবাল হোসেন জানান, এ দিন পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকে ডেকে পাঠানো হয় বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে।
ওই ঘটনায় ঢাকা যে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ, তা পাক হাইকমিশনারকে ডেকে এনে বাংলাদেশের তরফে স্পষ্টই বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাক প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করে বাংলাদেশের তরফে একটি কূটনৈতিক পত্রও তুলে দেওয়া হয়েছে পাক হাইকমিশনারকে।
আরও পড়ুন- ফিল্ম নয়, নীল মানুষরা আছেন বাস্তবেই!
আল বদর নেতা নিজামির ব্যাপারে তারা কতটা সহমর্মী, তা বোঝাতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেনি ইসলামাবাদ।
নিজামির ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে বুধবার সর্বসম্মতিতেই একটি নিন্দা প্রস্তাব পাশ হয়েছে। পাক বিদেশ মন্ত্রকও একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওই ঘটনায় তারা ‘গভীর ভাবে মর্মাহত’। নিজামিকে নিয়ে পাক বিদেশ মন্ত্রক গত এক সপ্তাহে দু’-দু’টি বিবৃতি দিল। এর আগে বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল ৬ মে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy