মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উন। ছবি:সংগৃহীত।
‘রণং দেহি’ মনোভাব ছেড়ে উত্তর কোরিয়ার প্রশ্নে সুর কিছুটা নরম করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্প জানালেন, উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার জন্য তিনি আন্তরিক ভাবেই আগ্রহী। তাঁর আশা, দু’বছর পর আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে যে শীর্ষ স্তরের বৈঠক হওয়ার কথা, সেটা সফল হবে। সমস্যার জট খুলবে।
মেরিল্যান্ডের ক্যাম্প ডেভিডে এখন ছুটি কাটাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেখানে সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘‘নিশ্চয়ই ওঁর (কিম জং-উন) সঙ্গে কথা বলব। এ ব্যাপারে আমার কোনও সমস্যা নেই।’’
এক সপ্তাহ আগেও পরিস্থিতিটা এমন ছিল না। কিম ও ট্রাম্প একে অন্যের বিরুদ্ধে আস্তিন গোটাচ্ছিলেন। ওই সময় উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, তাঁর ডেস্কে পরমাণু অস্ত্র উৎক্ষেপণের বোতামটা সব সময় তাঁর হাতের কাছেই থাকে। ‘রিটার্ন’ আসতে সময় লাগেনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে। জবাবে ট্রাম্প বলেছিলেন, ওঁর (কিম) চেয়ে অনেক বড় আর অনেক বেশি শক্তিশালী পরমাণু বোমার বোতাম রয়েছে তাঁর হাতে!
আরও পড়ুন- ১১৫ কোটির মার্কিন অনুদান হারাল পাকিস্তান
আরও পড়ুন- শেষ হচ্ছে কাস্ত্রো যুগ, কিউবায় ভোট ১১ মার্চ
মোড় ঘুরতে শুরু করে চলতি সপ্তাহের গোড়া থেকে। যখন ওয়াশিংটন ও সোল দু’পক্ষই জানিয়ে দেয়, দক্ষিণ কোরিয়ায় যৌথ সামরিক মহড়া সাময়িক ভাবে স্থগিত রাখা হল। এর পরেই বরফ কিছুটা গলতে শুরু করে। গত শুক্রবার পিয়ংইয়ং-এর তরফে জানানো হয়, দু’বছর পর তারা আগামী ৯ জানুয়ারি দক্ষিণ কোরিয়ার পানমুনজোম গ্রামে ‘পিস হাউজ’-এ প্রতিবেশী দেশটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চলেছেন। তবে সেই বৈঠকে কোনও রাজনৈতিক ইস্যু থাকছে না। সোলে আসন্ন শীতকালীন অলিম্পকে এ বার কয়েক জন উত্তর কোরীয় প্রতিযোগীর অংশ নেওয়ার কথা। তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতেই দীর্ঘ দিন পর মুখোমুখি বৈঠকে বসছে দুই কোরিয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy