Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
International News

হিন্দু শিক্ষিকাকে অপহরণ, ধর্মান্তরিত করে জোর করে বিয়ে পাকিস্তানে?

শুধু জোর করে বিয়ে দেওয়াই নয়, আরতিকে একটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতেও বাধ্য করেছেন আমির। ওই চুক্তিপত্র লেখা রয়েছে, আরতি স্বেচ্ছায় ওই মুসলিম যুবককে বিয়ে করেছেন।

কাশিম মডেল স্কুলে শিক্ষকতা করতেন আরতি। ছবি: নাইলা ইনায়তের টুইটারের সৌজন্যে।

কাশিম মডেল স্কুলে শিক্ষকতা করতেন আরতি। ছবি: নাইলা ইনায়তের টুইটারের সৌজন্যে।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৪:০৫
Share: Save:

হিন্দু এক শিক্ষিকাকে অপহরণ করে জোর করে বিয়ে করার অভিযোগ উঠল। গত শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের খাইরপুর জেলায়। জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষিকার নাম আরতি কুমারী। কাশিম মডেল স্কুলে শিক্ষকতা করেন আরতি।

সম্প্রতি নাইলা ইনায়ত নামে পাকিস্তানে কর্মরত এপি-র এক সাংবাদিক একটি টুইট করেন। সেই টুইটেই গোটা ঘটনাটির উল্লেখ করেছেন নাইলা। টুইটে ওই সাংবাদিক জানান, ১৯ বছরের আরতিকে অপহরণ কর হয়। এর পর, মাথায় বন্দুক ধরে স্থানীয় এক মুসলিম যুবকের সঙ্গে বিয়েও দেওয়া হয় তাঁর। জোর করে ধর্মান্তরিত করে আরতির নতুন নাম দেওয়া হয়েছে মাহইউশ। নাইলার দাবি, আমির ওয়াসান নামের এক ধর্মীয় নেতার তদারকিতেই গোটা ঘটনাটি ঘটেছে।

আরও পড়ুন: আইএস ঘাঁটি থেকে উদ্ধার ভারতীয় পাদ্রি

পরে নিউজগ্রাম সংবাদপত্রের একটি রিপোর্টে লেখা হয়েছে, শুধু জোর করে বিয়ে দেওয়াই নয়, আরতিকে একটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতেও বাধ্য করেছেন আমির। ওই চুক্তিপত্র লেখা রয়েছে, আরতি স্বেচ্ছায় ওই মুসলিম যুবককে বিয়ে করেছেন। সম্পর্কে আরতির এক কাকা জানান, আগামী নভেম্বরেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল তাঁর ভাইঝির। এর আগেও তাঁদের পরিবারের আরও এক তরুণীকে অপহরণ করা হয়েছিল।

সেই টুইট

আরও পড়ুন: নাথু লা নিয়ে কথায় রাজি চিন

এর আগে প্রায় একই ঘটনা ঘটেছিল উজমা আহমেদের ক্ষেত্রেও। পাকিস্তানে বেড়াতে যাওয়া উজমাকে পাক নাগরিক তাহির আলি বন্দুক দেখিয়ে বিয়ে করেছিলেন বলে অভিযোগ। পালিয়ে এসে ইসলামাবাদের ভারতীয় হাইকমিশনে আশ্রয় নেন উজমা। কুড়ি দিন কাটিয়েছিলেন সেখানে। এরপর ভারত ও পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের যৌথ প্রচেষ্টায় প্রায় তিন সপ্তাহ পরে ভারতে ফিরতে পেরেছিলেন উজমা।

পাকিস্তানে এই ধরনের ঘটনা নতুন নয়। জোর করে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে আটকাতে সিন্ধ অ্যাসেম্বলিতে আইনও আনা হয়েছিল। কিন্তু, কট্টরপন্থী মুসলিম সংগঠনগুলির চাপে সেই পদক্ষেপ প্রশ্নের মুখে পড়ে। আরতির ঘটনা ফের প্রমাণ করল, আইনকে ঢাল করেও জোর করে ধর্মান্তরিত করার ঘটনা সে দেশে আটকাতে সক্ষম হয়নি প্রশাসন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE