ফেলো কড়ি, মাখো তেল!
ইসলামাবাদকে দেওয়া হবে আটটি সর্বাধুনিক মার্কিন যুদ্ধবিমান ‘এফ-১৬’।
কিন্তু তার জন্য পাকিস্তানকে নগদে গুণতে হবে ৬৯৯ মিলিয়ান মার্কিন ডলার।
জঙ্গি দমনে ইসলামাবাদ ওই মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলি ব্যবহার করবে বলে তাকে শুধু শুধু ‘দয়া-দাক্ষিণ্যে’ ‘এফ-১৬’গুলি দিয়ে দেবে না পেন্টাগন। সেগুলি একেবারে কড়কড়ে ডলার গুণে কিনতে হবে পাকিস্তানকে।
কোনও রাখ-ঢাক না রেখে ইসলামাবাদকে এ কথা স্পষ্টই জানিয়ে দিল আমেরিকা।
যদিও মার্কিন প্রশাসনের এমন ইচ্ছা ছিল না। ডেমোক্র্যাট মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ইচ্ছা ছিল, ফরেন মিলিটারি ফিনান্সিং দফতর থেকে অনুমোদন এনে পাকিস্তানের হাতে আটটি সর্বাধুনিক ‘এফ-১৬’ যুদ্ধবিমান তুলে দেওয়া। অজুহাতটা ছিল, ইসলামাবাদ ওই মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলি কাজে লাগাবে নিজের দেশে জঙ্গি দমনে। গোপন জঙ্গি ঘাঁটিগুলির ওপর হামলা চালাতে।
আরও পড়ুন- লাদেন হত্যার পাঁচ বছর উদ্যাপন করল সিআইএ
যদিও মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের কাছে অনেক দিন ধরেই খবর রয়েছে, বিদেশ থেকে পাওয়া অস্ত্রশস্ত্র পাকিস্তান যতটা না জঙ্গি দমনে কাজে লাগায়, তার চেয়ে ওই সব অস্ত্র অনেক বেশি মজুত করে রাখে এই উপমহাদেশে অশান্তির আবহ তৈরি করার উপাদান হিসেবে। কোনও এক অজানা কারণে সে কথাটা সম্ভবত ডেমোক্র্যাট মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার মাথায় ছিল না!
বাদ সাধল মার্কিন সেনেট। মূলত আপত্তিটা জানান সেনেট ফরেন রিলেশান্স কমিটির চেয়ারম্যান রিপাবলিকান বব কর্কার। তিনি বলেন, ‘‘গোটা বিশ্বের দায়িত্ব আমরা নিইনি। বিশ্ব-শান্তির জন্য শুধুই আমরা আমাদের পকেট থেকে ডলার খরচ করতে পারব না। যার প্রয়োজন, সে তার পকেট থেকে ডলার খরচ করে তা কিনবে। কর্কারের বক্তব্য মার্কিন কংগ্রেসেরও সমর্থন আদায় করে নিতে পেরেছে।লে, মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, ‘‘আমরা পাকিস্তানকে জানিয়ে দিয়েছি, ওই আটটি মার্কিন ‘এফ-১৬’ যুদ্ধবিমান ইসলামাবাদকে ডলার খরচ করেই কিনতে হবে। আর তা কোনও ধার-বাকিতে হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy