—ফাইল চিত্র।
সার্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে যোগ দিতে ইসলামাবাদ পৌঁছলেন রাজনাথ সিংহ। বিক্ষোভ-প্রতিবাদের মধ্যেই বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের রাজধানীতে শুরু হচ্ছে ওই সম্মেলন। বুধবার ইসলামাবাদ রওনা হওয়ার আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ওই বৈঠকে আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে সুনিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সমস্ত কিছুই আলোচনায় রাখা হবে। পাকিস্তানের মাটিতে দাঁড়িয়েই কাশ্মীরের অশান্তিতে ইসলামাবাদের মদতের কথা তুলে ধরবেন তিনি।
রাজনাথের পাক-সফর ঘিরে পাকিস্তান জুড়ে বিক্ষোভ-প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে লস্কর প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সঈদ। সোমবারই নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ধর্নায় বসেছিল হাফিজের ছেলে তালহা সঈদ। এ দিন রাজনাথ যখন ইসলামাবাদে পৌঁছন, সেই সময় সার্ক সম্মেলনস্থলের বাইরে বিভিন্ন জেহাদি ও ধর্মীয় সংগঠন প্রতিবাদে সরব হয়। কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী সেখানে ছিল। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে দেখা গিয়েছে হিজবুল মুজাহিদিনের শীর্ষ নেতা সঈদ সালাউদ্দিনকে। দেখা যায় কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের স্ত্রী মিশাল মালিককেও। এ সবের মধ্যেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বেশ কয়েক জন পদস্থ কর্তাদের নিয়ে ইসলামাবাদ পৌঁছন রাজনাথ।
আরও পড়ুন: স্থিতিশীল হলেও এখনও বেশ অসুস্থ সনিয়া, আছেন হাসপাতালেই
জঙ্গি নেতা বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকেই অশান্ত কাশ্মীর উপত্যকা। আন্তর্জাতিক মঞ্চে এ বিষয়ে ভারতকে অস্বস্তিতে ফেলার সব চেষ্টাই করছে পাকিস্তান। এই পরিস্থিতিতে রাজনাথ আদৌ পাকিস্তান যাবেন কি না তা অনিশ্চিত ছিল। পরে ঠিক হয়, তিনি যাবেন। সাউথ ব্লক সূত্রের মতে, পাকিস্তান বুঝতে পারছে সন্ত্রাস ও অশান্তিতে মদত নিয়ে তাদের চাপে পড়তে হবে। তাই পাল্টা চাপ হিসেবে ভারতীয় ‘অত্যাচারে’র বিষয়টি খুঁচিয়ে তুলতে চাইছে তারা। কাশ্মীরে বিক্ষোভের সময়ে আহতদের চিকিৎসায় সাহায্য করতে দল পাঠিয়েছে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা তথা জামাত-উদ দাওয়া। বিদেশ মন্ত্রকের কর্তারা জানাচ্ছেন, পাক নেতৃত্বের সঙ্গে রাজনাথ কোনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন না। কিন্তু ‘সৌজন্যের খাতিরে’ পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী চৌধুরি নিসারের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। সেই সময়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দিল্লির কাছে থাকা সাক্ষ্যপ্রমাণ নিসারের হাতে তুলে দিতে পারেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy