প্রতীকী ছবি।
মাঝেমধ্যেই ভেসে আসছে গুলির শব্দ। পাহাড়ের আড়াল থেকে আকাশ ঢাকছে কালো ধোঁয়া। থেকে-থেকে নাকে আসছে পোড়া চামড়ার কটু গন্ধ। সীমান্তের ও-পারে জ্বলছে গ্রামকে গ্রাম। আর এ-পারে স্রোতের মতো ঢুকছে মানুষ। উপচে যাচ্ছে রোহিঙ্গা-শিবির। দানা বাঁধছে সংক্রামক রোগের আতঙ্ক।
গত ২৫ অগস্ট রোহিঙ্গা জঙ্গিরা বড়সড় হামলা করে পুলিশ ফাঁড়িতে। তার পর থেকেই ‘সাফাই অভিযান’ শুরু করেছে মায়ানমার সেনা। প্রাণে বাঁচতে ভিটেমাটি ছেড়ে পালাচ্ছে সাধারণ রোহিঙ্গারা। তাঁদের কথায়, ‘‘ওখানে থাকলে ওরা জ্যান্ত পুড়িয়ে মারবে। পালাতেই হতো। ওরা রোহিঙ্গাদের মেরে তাড়াবে।’’
রাষ্ট্রপুঞ্জের এক স্বাস্থ্যকর্মী জানাচ্ছেন, শুধু শনিবারই গুলির ক্ষত নিয়ে শিবিরে পৌঁছেছেন ৫০-এরও বেশি শরণার্থী। এখন তাঁরা কক্সবাজারে হাসপাতালে। যাঁরা নদীপথে বাংলাদেশি গ্রাম ‘শাহ পরির দ্বীপ’-এ এসে পৌঁছেছেন, তাঁরাও বলছেন লাগাতার বোমা বিস্ফোরণে জখম হয়েছেন অনেকে। জীবন্ত পুড়ে মারা গিয়েছেন বহু সাধারণ রোহিঙ্গা।
দেখভালের দায়িত্বে থাকা এক স্বেচ্ছাসেবী কর্মীর কথায়, ‘‘শরণার্থীদের চিকিৎসায় আরও গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। অনেকে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। তা ছাড়া অপুষ্টি, নানা সংক্রামক রোগ তো রয়েইছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy