উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উন।- ফাইল চিত্র।
উত্তর কোরিয়ার ‘যুদ্ধবাজ’ প্রেসিডেন্ট কিম জং-উনকে খুন করার জন্য সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ ইউনিট গড়তে চলেছে দক্ষিণ কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর ওই বিশেষ টিমের নাম দেওয়া হচ্ছে ‘অ্যাসাসিনেশন ইউনিট’ বা ‘ডিক্যাপিটেশন ইউনিট’। যার চেহারাটা হবে সেনাবাহিনীর একটা ব্রিগেডের মতো। দেড় থেকে তিন হাজার সেনা থাকবে সেই বিশেষ ইউনিটে। চলতি বছরের শেষাশেষি সেই ইউনিট গড়ে ফেলা হবে। শুরু হয়ে যাবে তার প্রশিক্ষণও।
চলতি সপ্তাহে সোলে দেশের সাংসদদের এ কথা জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সোং ইয়ং-মু। তিনি জানিয়েছেন, বিশ্বে পারমাণবিক অস্ত্রশস্ত্রের বিপদআপদ কমাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- এবিভিপি’র ক্ষমতাচূর্ণ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়েও
আরও পড়ুন- দাউদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করছে ব্রিটেন
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উন যে ভাবে সোল আর ওয়াশিংটনকে পারমাণবিক হানাদারির হুমকি দিয়ে চলেছেন, তাতে আত্মরক্ষার স্বার্থেই দক্ষিণ কেরিয়া সরকারকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর সেই ঘাতক ব্রিগেড।- ফাইল চিত্র।
দিনকয়েক আগেই ষষ্ঠ বার পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করেছে পিয়ংইয়ং।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর এক অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল শিন ওন-সিক মার্কিন সংবাদপত্র ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’কে বলেছেন, ‘‘ওই হুমকির প্রেক্ষিতে আত্মরক্ষার জন্য আমরা পরমাণু বোমা বানানো ছাড়া আর যা করতে পারি, তা হল, সারা জীবনের জন্য কিম জং-উনের ভয় কাটিয়ে ফেলা।’’
উত্তর কোরিয়ার পরমাণু যুদ্ধ প্রস্তুতির প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ পিয়ংইয়ং-এর বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশ্বে উত্তর কোরিয়ার রফতানির বাজার নির্ভর করে মূলত বস্ত্র ও জ্বালানির ওপর। নিরাপত্তা পরিষদ পিয়ংইয়ং-এর বস্ত্র রফতানি নিষিদ্ধ করেছে। আর জ্বালানি রফতানির পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy