বোকা বনতে রাজি নয়, বুঝিয়ে দিল ওয়াশিংটন! তাই শুধুই কড়া কড়া কথা না বলে এ বার সরাসরি ব্যবস্থা নিল ট্রাম্প প্রশাসন।
পাকিস্তানকে যে ২৫ কোটি ৫০ লক্ষ ডলারের সামরিক সাহায্য দেওয়ার কথা ছিল আমেরিকার, তা আপাতত স্থগিত রাখল ওয়াশিংটন।
ও দিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার তাঁর টুইটে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তোপ দাগায় ইসলামাবাদও তার অসন্তোষ গোপন রাখেনি। ইসলামাবাদে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত ডেভিড হেলকে ডেকে পাঠিয়েছে পাক সরকার। কেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওই মন্তব্য করলেন ইসলামাবাদে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
ওয়াশিংটনকে কী জবাব দেওয়া হবে, তা ঠিক করতে মঙ্গলবার তাঁর ক্যাবিনেটের জরুরি বৈঠক ডেকেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খকন আব্বাসি। দেশের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির সদস্যদের সঙ্গেও এ দিন বৈঠকে বসবেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
হোয়াইট হাউস অবশ্য এও বলেছে, ইসলামাবাদকে সামরিক সাহায্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তটা সাময়িক। পাক ভূখণ্ডে ঘাঁটি গেড়ে থাকা জঙ্গিদের নির্মূল করতে ইসলামাবাদ অবিলম্বে ব্যবস্থা নিলে আপাতত আটকে রাখা সামরিক সাহায্য পাকিস্তানের হাতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে আমেরিকাও সাত-পাঁচ ভাববে না। কিন্তু আগে নিজের ভূখণ্ডে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের নির্মূল করতে হবে ইসলামাবাদকে। সে ব্যাপারে তার আন্তরিকতার প্রমাণ দিতে হবে।
আরও পড়ুন- আর নয়, ‘প্রতারক’ পাকিস্তানকে হুমকি ট্রাম্পের
আরও পড়ুন- আর বরদাস্ত নয় পাক মিথ্যাচার: চরম বার্তা ট্রাম্পের
ট্রাম্প গতকাল তাঁর টুইটে লিখেছিলেন, ‘‘গত ১৫ বছর ধরে আমেরিকাকে ঠকিয়ে এসেছে পাকিস্তান। সামরিক ও অন্যান্য সাহায্য হিসাবে ওই সময় পাকিস্তানকে যে ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলার দিয়েছে আমেরিকা, তার বেশির ভাগটাই ইসলামাবাদ খরচ করেছে জঙ্গিদের তোষণে বা তাদের অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করতে। আমেরিকার রাষ্ট্রনেতাদের বোকা ভেবে তাঁদের এই ভাবেই ধোঁকা দিয়ে গিয়েছে ইসলামাবাদ।’’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওই টুইটের পরেই গতকাল ফুঁসে ওঠে পাকিস্তান। পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খুররাম দস্তগির-খান তাঁর টুইটে লেখেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তান বরাবরই আমেরিকার পাশে থেকেছে। গত ১৬ বছর ধরে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল-কায়েদার বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে পাকিস্তান তার নিজের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দিয়েছে। তার আকাশসীমা ব্যবহার করতে দিয়েছে। এ ব্যাপারে আমেরিকাকে সাহায্য করতে কার্পণ্য হয়নি পাক সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থারও।’’
‘জিও’ টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী খাওয়াজা মহম্মদ আসিফ গতকাল বলেন, ‘‘আমেরিকার অর্থসাহায্য পাকিস্তান কী ভাবে কোন কোন খাতে খরচ করেছে, তা প্রকাশ্যে সবিস্তার জানাতে কোনও অসুবিধা নেই ইসলামাবাদের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy