প্রতীকী ছবি।
মার্কিন ড্রোন হানায় মৃত্যু হয়েছে অন্যতম শীর্ষ আল কায়দা জঙ্গি কারি ইয়াসিনের। ইসলামাবাদের ম্যারিয়ট হোটেলে ২০০৮ সালের ভয়াবহ আত্মঘাতী হানার মূল চক্রী ছিল এই কারি ইয়াসিন। আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে আকাশপথে হানা দিয়ে ইয়াসিনকে খতম করেছে মার্কিন বাহিনী। জানাল পেন্টাগন।
গত ১৯ মার্চ কারি ইয়াসিন নিহত হয়েছে বলে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর। কিন্তু সে দিন খবর প্রকাশ করা হয়নি। কারি ইয়াসিনের মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত হতে কিছুটা সময় নিয়েছে পেন্টাগন। শীর্ষ আল কায়দা জঙ্গির মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ হাতে পাওয়ার পর শনিবার রাতে পেন্টাগন জানিয়েছে, কারি ইয়াসিন নিহত হয়েছে। যে পাকতিকা প্রদেশে অভিযান চালিয়ে ইয়াসিনকে খতম করা হয়েছে, সেটি আফগানিস্তানের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অবস্থিত। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে থাকা বালুচিস্তানের লাগোয়া পাকতিকার বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় আল কায়দা এখনও যথেষ্ট সক্রিয়। তবে কারি ইয়াসিনের মতো শীর্ষ জঙ্গির মৃত্যু আল কায়দাকে নিঃসন্দেহে বেশ কিছুটা দুর্বল করবে বলে পেন্টাগন মনে করছে।
ম্যারিয়টে সেই ভয়াবহ জঙ্গি হানা। বিস্ফোরণের পর জ্বলছে ম্যারিয়ট হোটেল। ছবি: আনন্দবাজার আর্কাইভ থেকে।
২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে ভয়াবহ জঙ্গি হানায় কেঁপে উঠেছিল ইসলামাবাদের ম্যারিয়ট হোটেল। বিস্ফোরক বোঝাই ট্রাক হানা দিয়েছিল হোটেলটিতে। ইসলামাবাদের কূটনৈতিক এলাকার খুব কাছাকাছি অবস্থিত ম্যারিয়টে এই জঙ্গি হানায় মৃতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়ে যায়। তাঁদের মধ্যে দু’জন মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মী ছিলেন। বিস্ফোরণের জেরে আগুন লেগে পুড়ে গিয়েছিল প্রায় গোটা হোটেল।
আরও পড়ুন: লন্ডনের খুনি একা ছিল না, দাবি পুলিশের
কুখ্যাত আল কায়দা জঙ্গি কারি ইয়াসিনের নাম ২০০৯ সালেও শিরোনামে আসে। সে বছর পাকিস্তান সফররত শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের টিম বাসে গুলিবৃষ্টি করেছিল আল কায়দা। বেশ কয়েক জন ক্রিকেটার জখম হয়েছিলেন। কারি ইয়াসিনই সেই হামলার চক্রী ছিল। ওই ঘটনার পর থেকে অন্তত ছ’বছর কোনও দেশ পাকিস্তানে ক্রিকেট খেলতে যায়নি।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব জিম ম্যাটিস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘কারি ইয়াসিনের মৃত্যু প্রমাণ করল, যারা ইসলামকে বদনাম করে এবং ইচ্ছাকৃত নিরীহ মানুষকে নিশানা বানায়, তারা বিচার এড়াতে পারবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy