‘দাদাগিরি’ চালাচ্ছে আমেরিকা। ওয়াশিংটনের কার্যকলাপ ‘দ্বিচারিতা’য় ভরপুর। এমনই কড়া বয়ান দিল বেজিং। দক্ষিণ চিন সাগরে জলসীমার দখল নিয়ে দু’দেশের মধ্যে বাড়তে থাকা দ্বৈরথের প্রক্ষিতেই এই মন্তব্য চিনের। মার্কিন নৌবাহিনীর ঘোষণা, বেজিং যা-ই বলুক, চিন সাগরে আমেরিকার টহলদারি চলবেই।
চিনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যানফোর্ড সেন্টারে এক আলোচনাসভায় সোমবার যোগ দেন মার্কিন নৌবাহিনীর প্যাসিফিক কম্যান্ডের প্রধান অ্যাডমিরাল হ্যারি বি হ্যারিস জুনিয়র। পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া ভাষণে কিন্তু তিনি দু’দেশের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনাকে লঘু করেই দেখাতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘অনেক পণ্ডিত এই দু’দেশের মধ্যে আসন্ন সংঘাতের ভবিষ্যদ্বাণী করছেন। আমি মনে করি না তেমন কিছু হবে।’’ অ্যাডমিরাল হ্যারিস জুনিয়রের কথায়, আমেরিকা-চিনের মধ্যে বেশ কিছু বিষয়ে মতভেদ রয়েছে ঠিকই। কিন্তু সহযেগিতার ক্ষেত্রও কম নয়। চিনা ও মার্কিন বাহিনীর যৌথ মহড়া এবং নিখোঁজ মালয়েশীয় বিমানের তল্লাশিতে দু’দেশের এক সঙ্গে কাজ করার মতো বিষয়ের কথা নিজের ভাষণে তিনি তুলে ধরেন। কিন্তু, দক্ষিণ চিন সাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজের টহলদারি প্রসঙ্গে অ্যাডমিরাল হ্যারি বি হ্যারিস জুনিয়র কঠোর অবস্থানেই অনড় থাকেন। তিনি জানান, দক্ষিণ চিন সাগরে নিজেদের জলসীমা নিয়ে চিন যে দাবি করছে আমেরিকা মনে করে তা ‘অস্পষ্ট’ এবং ‘আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি চ্যালেঞ্জ’। তিনি বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক আইন যে সব এলাকায় যাওয়ার অনুমতি দেয়, সেই সব এলাকাতেই উড়ান, যুদ্ধজাহাজ এবং অন্যান্য অভিযানের মাধ্যমে মার্কিন টহলদারি বা নজরদারি চলতে থাকবে। দক্ষিণ চিন সাগর এর ব্যতিক্রম নয়।’’
এর পরই মঙ্গলবার কড়া বয়ান দিয়েছে বেজিং। চিনের তরফে বলা হয়েছে, আমেরিকার ‘দাদাগিরি ও দ্বিচারিতা’ কিছুতেই বরদাস্ত করা হবে না। দক্ষিণ চিন সাগরে মার্কিন রণতরীর আনাগোনাকে চিন ‘স্পষ্ট প্ররোচনা’ হিসেবেই দেখবে। এর ফল আমেরিকার পক্ষে মারাত্মক হবে বলেও বেজিং ফের হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
যুদ্ধবিমান দিয়ে ঘিরছে আমেরিকা, পাল্টা হুঙ্কারে মহড়া শুরু চিনের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy