Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

যুদ্ধবিমান দিয়ে ঘিরছে আমেরিকা, পাল্টা হুঙ্কারে মহড়া শুরু চিনের

যুদ্ধের পরস্থিতি ক্রমেই ঘনাচ্ছে দক্ষিণ চিন সাগরে। রণতরী পাঠানোর পর আমেরিকা চিনকে যুদ্ধবিমান দিয়ে ঘিরতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, জাপান আর অস্ট্রেলিয়ার কয়েকটি বিমানঘাঁটিতে ইতিমধ্যেই যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে আমেরিকা।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৫ ১১:৪৩
Share: Save:

যুদ্ধের পরস্থিতি ক্রমেই ঘনাচ্ছে দক্ষিণ চিন সাগরে। রণতরী পাঠানোর পর আমেরিকা চিনকে যুদ্ধবিমান দিয়ে ঘিরতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, জাপান আর অস্ট্রেলিয়ার কয়েকটি বিমানঘাঁটিতে ইতিমধ্যেই যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে আমেরিকা। পাল্টা জবাবে ভিয়েতনামের কাছে মহড়া শুরু করল ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত চিনা বিমানবহরও।

ইউএসএস লাসেন চিন সাগরে ঢোকার পর থেকেই ওয়াশিংটনকে ক্রমাগত শাসানি দিয়ে চলেছে বেজিং। এই চোখরাঙানির জবাব না দেওয়া আমেরিকার পক্ষে খুব একটা সম্মানজনক হবে না। তাই পেন্টাগন আর পিছু হঠতে নারাজ। দক্ষিণ চিন সাগরে ইতিমধ্যেই হাজির হওয়া মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস লাসেনকে সাহায্য করতে আরও বেশ কিছু রণতরী দক্ষিণ চিন সাগরের দিকে পাঠাচ্ছে ওয়াশিংটন। কিন্তু, খুব গোপনে পেন্টাগন তার চেয়েও অনেক বড় প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে বলে খবর। চিনকে কিছুই জানতে না দিয়ে এফ-৩৫ এবং বি-১ বম্বার যুদ্ধবিমানের বেশ কয়েকটি স্কোয়াড্রন জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ায় নাকি মোতায়েন করে ফেলেছেন বারাক ওবামা। বি-১ বম্বার সুপারসনিক গতিবেগ এবং দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে ভয়ঙ্কর হামলা চালানোর ক্ষমতা রাখে। অস্ট্রেলিয়ার একটি বিমানঘাঁটিতে আমেরিকা এই যুদ্ধবিমানগুলি মোতায়েন করেছে বলে খবর। অস্ট্রেলিয়া থেকে উড়ে চিনে হামলা চালানো এই সব ফাইটার জেটগুলির কাছে জলভাত। চিনের আরও কাছে, জাপানে পেন্টাগন নাকি নিয়ে এসেছে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের একাধিক স্কোয়াড্রন। অবিশ্বাস্য পরিমাণ যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে আক্রমণের ক্ষমতা রয়েছে এফ-৩৫-এর।

মার্কিন যুদ্ধবিমান তাদের ঘিরছে বলে খবর পেয়েই পাল্টা শক্তিপ্রদর্শন শুরু করে দিয়েছেন শি চিনফিং। চিনা নৌবাহিনীর কিছু যুদ্ধবিমান ভিয়েতনামের খুব কাছে ক্ষেপণাস্ত্র-সহ মহড়া শুরু করেছে। শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে চিনা যুদ্ধবিমানের এই ওড়াউড়ির ভিডিও চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির তরফেই প্রকাশ করা হয়েছে। কোন বিমানঘাঁটি থেকে এই যুদ্ধবিমানগুলি মহড়া দেওয়া শুরু করল, তা চিন জানায়নি। তবে ভিডিও দেখে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষিণ চিন সাগরে ভিয়েতনামের খুব কাছের একটি বিমানঘাঁটি থেকে চিনের এই মহড়া শুরু হয়েছে।

ভিয়েতনামের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক মোটেই মধুর নয়। সেই বিরোধও দক্ষিণ চিন সাগরের দখল নিয়েই। চিনা নৌবাহিনীর ভয়ে দক্ষিণ চিন সাগরে খনিজ তেল অনুসন্ধানের কাজ করতে পারছিল না ভিয়েতনাম। অবশেষে ভারতের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে শুরু করেছে সেই কাজ। এ বার জলসীমা লঙ্ঘন নিয়ে চিন-আমেরিকা দ্বৈরথে শত্রুর শত্রুকেই বন্ধু হিসেবে বেছে নিয়েছে ভিয়েতনাম। ফিলিপিন্সের মতো ভিয়েতনাম, তাইওয়ান, মালয়েশিয়া এবং এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের আর এক বড় শক্তি জাপানও এই দ্বৈরথে আমেরিকার পাশে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে। তার পরই ভিয়েতনাম উপকুলের কাছে চিনা যুদ্ধবিমানের ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে মহড়া শুরু করা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, বলছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

এই সংক্রান্ত আরও খবর
আমেরিকা দাদাগিরি বন্ধ না করলে ফল মারাত্মক হবে, হুমকি চিনের

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE