কথাটা কিন্তু গোপন। যেন ‘লিক’ না হয়ে যায়! ‘‘জেমস ম্যাটিস আমাদের পরবর্তী প্রতিরক্ষা সচিব’’, ঘোষণা করেই খানিকটা মুচকি হাসলেন আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ‘‘তবে এটা কিন্তু এখনই কাউকে জানাবেন না। আগামী সোমবারই আনুষ্ঠানিক ভাবে নামটা প্রকাশ করব।’’ সিনসিনাটির প্রেক্ষাগৃহে তখন হাসির রোল!
ট্রাম্পের বিজয় সফরের প্রথম গন্তব্য ছিল সিনসিনাটি। গত সন্ধেয় সেখানকারই একটি প্রেক্ষাগৃহে নিজের ব্যাটেলিয়নের এই নামটি জানিয়ে দিলেন তিনি। ১৯ নভেম্বর ‘ট্রাম্প ন্যাশনাল গল্ফ ক্লাবে’ ম্যাটিসের সঙ্গে দেখা হওয়ার পরই উচ্ছ্বসিত প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ম্যাটিস সম্পর্কে টুইট করেছিলেন, ‘এক অসাধারণ ব্যক্তিত্ব’। ‘এক জন সত্যিকারের কাজের মানুষ।’ তবে প্রতিরক্ষা সচিবের পদে স্টিফেন হেডলি, তুলসী গাবার্ডের নাম নিয়ে জল্পনা চলছিলই। কিন্তু শেষমেশ ট্রাম্প জানিয়ে দিলেন, হোয়াইট হাউসে আসছেন ম্যাটিস-ই।
‘ম্যাড ডগ’ নামেই বিশেষ পরিচিত অবসরপ্রাপ্ত মেরিন জেনারেল জেমস ম্যাটিস। ২০১০ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত আমেরিকার সেন্ট্রাল কম্যান্ডের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। বারাক ওবামাই নিয়োগ করেন তাঁকে। সামরিক বাহিনীতে ছিলেন ৪৪ বছর। ২০১৩-য় ইরাক যুদ্ধের সময়ে মেরিনসে ছিলেন ম্যাটিস। যুদ্ধই ধ্যানজ্ঞান ম্যাটিসের। তাঁর সহকর্মীরা তাঁকে ‘ধ্যানমগ্ন যোদ্ধা’ বলে থাকেন।
তাঁর কিছু বক্তব্যে বহু বিতর্কও তৈরি হয়েছে। যেমন ২০০৫ সালে এক বার তিনি বলেছিলেন, ‘‘তুমি যদি আফগানিস্তান যাও, দেখবে ওখানে প্রচুর লোক আছে যাঁরা হিজাব না পরার জন্য মহিলাদের মারেন।... এঁদের (এই সব লোককে) খতম করতে খুব মজা!’’ পশ্চিম এশিয়া সংক্রান্ত ওবামার নীতির সমালোচনা করে কয়েক বার সংবাদ শিরোনামে এসেছেন তিনি। ওঁর মতে, ইরানের জন্যই পশ্চিম এশিয়ায় এত অশান্তি, এত দুর্ভোগ। তবে ট্রাম্পের সব নীতিই যে উনিই ‘ঠিক’ মনে করেন এমনটা নয়। ইরান পরমাণু চুক্তি ভাঙলে আমেরিকার উপর তার প্রভাব পড়তে পারে বলে ম্যাটিসের ধারণা। শরিকদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলারই পক্ষপাতী তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy