Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

প্রোটিয়া ডিফেন্স ভেঙে ৩-০ কোহলিদের

ভেবেছিলেন আজকের দিনচা কোনও রকমে উতরে গিলেই ব্যস ম্যাচ ড্র! নিজে ক্রিজে থেকে সেই চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছিলেন হাসিম আমলা। ভারতীয় বোলিংয়ের ঘূর্ণিকে এমনিতেই সামাল দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ছিল, তাই ডিফেন্সিভ খেলে মান রক্ষার চেষ্টা করছিলেন আর কি!

শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৩:১০
Share: Save:

ভেবেছিলেন আজকের দিনটা কোনও রকমে উতরে গিলেই ব্যস ম্যাচ ড্র! নিজে ক্রিজে থেকে সেই চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছিলেন হাসিম আমলা। ভারতীয় বোলিংয়ের ঘূর্ণিকে এমনিতেই সামাল দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ছিল, তাই ডিফেন্সিভ খেলে মান রক্ষার চেষ্টা করছিলেন আর কি! যে আমলার টেস্ট রেকর্ড এত ভাল এ বার সেই আমলাকেই এক দম দেখা গেল অন্য ভঙ্গিতে। চেষ্টার খামতি না রেখে বলের পর বলে নষ্ট করে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকে হার স্বীকার করতে হল জাডেজার ঘূর্ণির কাছে। ২৪৪ বল খেলে মাত্র ২৫ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। এর পর ক্রিজে এসে দু’প্লেসি-দুমিনিও একই পথে হাঁটছিলেন। কিন্তু, ব্লকাথনের মাঝেই ফের ছন্দপতন ঘটালেন আমলা-জয়ী ‘স্যার জাডেজা’ এবং অশ্বিন। ফাফ দু’প্লেসিকে স্পিনের জালে ফেলে ফেরালেন। দুমিনির উইকেট নিয়ে ভারতকে লক্ষ্যের আরও কাছে নিয়ে যাওয়ার কাজ সারলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। আর শেষ কাজটা করলেন ভারতীয় বোলাররা।

এ দিকে, আতঙ্কিত মুখে ঘুরে বেড়াচ্ছেন লক্ষ্মণ শিবরামকৃষ্ণণ!

দক্ষিণ আফ্রিকা একই ভঙ্গিতে সোমবার সারা দিন ব্যাট করে টেস্ট বাঁচিয়ে ফেলবে কি না, সেই আতঙ্ক নয়। শিবা উদ্বিগ্ন হয়ে রয়েছেন সকাল সকাল বাড়ি থেকে আসা ফোনে যে, চেন্নাইয়ে আবার ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তাঁর পরিবারের কী করুণ অবস্থা, বলছিলেন ভারতের প্রাক্তন লেগ স্পিনার। বাড়িতে তড়িতাঘাতের আশঙ্কায় লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে। পাওয়ার নেই টানা, এমন অবস্থায় আর ক’দিন চলে? পরিবারকে ফাইভ স্টার হোটেলে স্থানান্তরিত করেছিলেন। সেখানেও কর্মীসংখ্যা অস্বাভাবিক কম। চার দিনে এক বার বেডশিট বদলাচ্ছে হোটেল। মেনুর অর্ধেক খাবার নেই। তার মধ্যে আবার বৃষ্টি মানে চেন্নাই এয়ারপোর্ট খুলেও ফের বন্ধ করে দিতে হবে। বাড়ি পৌঁছবেন কী করে?

চেন্নাইয়ে ফের বৃষ্টি শুনে মৃদুমন্দ রসিকতা চালু হল, শিবা যদি না পৌঁছতে পারে তা হলে রবিচন্দ্রন অশ্বিনই বা চেন্নাইয়ে নামবে কী করে? তার মানে অশ্বিন আজ খেলাটা শেষ না করে এয়ারপোর্ট ভাল ভাবে খোলার অপেক্ষায় থাকবে। টেস্টটাকে গড়াতে দেবে সোমবার অবধি।

কে জানত, দিনের শেষে রসিকতাটা ভয়ঙ্কর ভাবে ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থককে গিলতে আসবে? কে জানত যে, মারকুটে স্ট্রোকপ্লেয়ারে ভর্তি দক্ষিণ আফ্রিকা আচমকা ঠুকে ঠুকে ম্যাচ ড্র করার মতো অসম্ভব অভিযানে ঝুঁকে পড়বে? ওয়েবসাইটে রোববারের টেস্ট ক্রিকেট সোশ্যাল মিডিয়ায় গজিয়ে ওঠা নানা জোক্‌স ছাড়াও চমৎকার একটা অভিব্যক্তির জন্ম দিয়েছে— ব্লকাথন!

মানে ম্যারাথন ব্লকিং। মাথা নিচু করে ঠুকং দেহি। ড্রয়ং দেহি। নমো নমঃ। এই ব্লকিং উপড়াতে না পারলে কোহলিদের ৩-০-র প্রতিজ্ঞা অসমাপ্ত থাকবে। বোর্ড সচিব অনুরাগ ঠাকুরের দেওয়া নৈশভোজে যাওয়ার আগে রবি শাস্ত্রী বলে গেলেন, ‘‘আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। হালকা ভাগ্যের ছোঁয়া লাগবে হয়তো।’’ তাঁর মনোভাবে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের কোণঠাসা করে সিরিজ জেতার পাশাপাশি ঘুরে বেড়াচ্ছে খচখচানি— নিরঙ্কুশ হবে তো?

আসলে শেক্সপিয়রের কালজয়ী নাটকের মতোই একটা আজব দুই সেশনের ক্রিকেট দেখল নয়াদিল্লি। এক-এক সময় ক্রিকেট যেন ফিরে গেল ঠিক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ভিন্টেজ যুগে। যখন গতিমন্থরতাই ছিল খেলাটার বৈশিষ্ট্য। রিভার্স সুইপ বা এক্সট্রা কভারের ওপর দিয়ে ছক্কা নয়! স্টেপ আউটও নয়।

ভাবাই যায় না যে কোটলা টেস্টে দুটো প্রান্তের নামকরণ হয়েছে বীরু ৩১৯ আর বীরু ৩০৯। সেখানে একটা টিম ৭২ ওভারে তুলবে ৭২। সহবাগের পরম্পরা যদি গতিময়তা হয়, এটা তো অক্লান্ত গতিমন্থরতার!

সফরকারী দলের ব্যাটিং সুপারস্টার দু’জন। হাসিম আমলা আর এবি ডে’ভিলিয়ার্স। বিশ্বে এঁদের কথা ভেবে কত বোলার যে রাতে ঘুমোয়নি, তার ঠিকঠিকানা নেই। এঁদের সম্পর্কে ম্যাচ প্রস্তুতি খুব সহজ— গুড লেংথ রাখতে পারোনি কী মরেছ! এঁরা ক্রিজে থাকা মানে টিম দিনের নব্বই ওভারে তিনশোর ওপর তুলবেই। কখনও সেটা সাড়ে তিনশোতেও চলে যেতে পারে। আর এঁরাই কিনা রবিবাসরীয় দুপুরে ড্রয়ের অসম্ভব লক্ষ্যে জুড়েছেন ২৯ ওভারে ২৩ রান।

ম্যাচ রিপোর্টে ক্রমাগত এত স্ট্যাটস ঢুকছে যে, অঙ্কের খাতা মনে হতে পারে। কিন্তু উপায় নেই। টেস্ট ক্রিকেটে অঙ্কের এমন আজব খেলা জেনারেশন ওয়াই দেখেনি। এখন গতির যুগ। প্রতি সেকেন্ডে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে কানেকটেড হয়ে যাওয়ার যুগ। সেই আমলে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক করেছেন ২০৭ বলে অপরাজিত ২৩। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দুশো বল বা তার বেশি খেলা কোনও ইনিংসে কেউ এত স্লো ব্যাটিং করেনি।

ডে’ভিলিয়ার্স তো আরওই বিস্ময়কর। তিনি তো আধুনিক যুগের সহবাগ। বলা হয়ে থাকে ৩৬০ ডিগ্রি ক্রিকেটার। সব রকম শট আছে। টেস্টে কত ঝোড়ো সব ইনিংস। ওয়ান ডে-তে দ্রুততম সেঞ্চুরি। টি-টোয়েন্টিতে একশো ষাটের কাছাকাছি স্ট্রাইক রেট। এই কোটলা পিচেই তো বলে বলে শেষ ওভারে ২৩/২৪ তুলে আরসিবিকে জিতিয়েছেন। আজ সেই মানুষটাই যদি ৯১ বলে পিষে পিষে ১১ তোলেন, তা হলে তার কী ভাবে ব্যাখ্যা হওয়া উচিত?

সুনীল গাওস্করকে দেখলাম খুব অনুমোদনের ভঙ্গিতে মাথা ঝাঁকাচ্ছেন। ব্লকিংটাও যে একটা শিল্প, সেটা বিশ্ব ক্রিকেট ভুলে গিয়েছে। মান্ধাতা টেকনিকের প্রত্যাবর্তন তাঁকে এতটুকু হতাশ করেনি। এমনকী শাস্ত্রী, যাঁর কাছে আজকের ‘ব্লকাথন’ সবচেয়ে অসহ্য লাগা উচিত, তাঁকেও মনে হল ডে’ভিলিয়ার্সদের লড়াইয়ে সশ্রদ্ধ।

সঞ্জয় মঞ্জরেকর তো গলা ছেড়ে উচ্ছ্বসিত। ‘‘টেস্ট ক্রিকেটের এটাও যে সৌন্দর্য, মানুষ ভুলতে বসেছিল।’’ তাঁকে মনে করিয়ে দেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করলাম, স্লো মোশনে চলে যাওয়া মানে তো গোটা ব্যাপারটা নতুন দর্শক নেবেই না। একটা স্পেলে বিশ্বের কৃপণতম বোলার হিসেবে রবীন্দ্র জাডেজার নাম বসে যাবে বাপু নাদকার্নির পাশে (২৩ ওভারে ১০ রান), এটাও কি বিটকেল নয়? রোববার টিভির সামনেও এত বেশি ক্রিকেট দর্শক। তারা তো অ্যাকশনের অভাবে বিরক্ত ভাবে চ্যানেল সার্ফ করে যাবে। আরও আবেদন কমবে টেস্ট ক্রিকেটের। মঞ্জরেকর বললেন, ‘‘প্লেয়াররা কী করবে? ওদের তো খেলার ধর্ম মেনে খেলতে হয়। টিভি দর্শকের কথা ভাবা তার কাজ নয়।’’

তিনি যতই বলুন, রোববারের মতো ‘ব্লকাথন’ যে হোস্ট ব্রডকাস্টারকে দ্বৈত সঙ্কটে ফেলে দিয়েছে, তা নিয়ে তর্ক নেই। শোনা যাচ্ছিল টেস্টগুলো তিন দিনে শেষ হয়ে যাওয়ায় স্টার স্পোর্টসের প্রচুর ক্ষতি হচ্ছিল। চলতি সিরিজের টিআরপি মোটেও ভাল নয়। কাটা ঘায়ে নুনের ছিটের মতো স্টার স্পোর্টস ইদানীং সময়ে তার তিন জনপ্রিয় ভাষ্যকারকে হারিয়েছে— সৌরভ, শাস্ত্রী, দ্রাবিড়। এত দিন চ্যানেল কর্তাদের আশা ছিল, টেস্ট পাঁচ দিন চলুক। একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা হোক যাতে লোকে টিভিটা খোলার উৎসাহ পায়। কোটলা কি তাদের সিরিজে আরও একটা কালো রোববার উপহার দিল? না কি মোড় ফিরল টিআরপির? এর জবাব কোটলায় ভারত শেষ দিনে আট উইকেট ফেলতে পারবে কি না-র চেয়েও সুদূরপ্রসারী।

গোটা সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা এক বারও নতুন বল খেলেনি ৮০ ওভার অবধি টেকেনি বলে। যারা চার-পাঁচ ঘণ্টায় অল আউট হয়ে যাচ্ছিল। পঞ্চাশ ওভারও খেলতে পারছিল না। তারা কোটলার বাইশ গজে ঝরা পাতার মধ্যে বেঁচে থাকবে, এটাও কেউ ভাবেনি। খেলা শেষ থেকে দেখলাম বেশ কিছু ফ্লাইট আর হোটেলের টিকিট চার দিকে বদলানো চলছে।

কিন্তু তার চেয়েও অবিশ্বাস্য বোলার ইচ্ছাকৃত ফুলটস দিচ্ছে ব্যাটসম্যানকে যাতে সে মারে। আর মারতে গিয়ে ‘ব্লকাথনের’ তৈরি অটোপাইলট মোড থেকে বেরোয়। আমলাতন্ত্র তাতেও প্রলুব্ধ নয়। এ দিকে ভারত ওভারপিছু ২.৬৬ রান তোলাতেই দর্শকদের বোরিং লাগছিল। বিদেশিদের এ ধরনের ক্রিকেটে তারা বিস্ময়ে নো নেটওয়ার্ক হয়ে যায়। দু’একটা হায়-হায় শুরু হয়ে গ্যালারি আবার ঘুমিয়ে পড়ল।

‘ব্লকাথন’ অবশ্য যাবতীয় বিরক্তি সরবরাহের মধ্যেও একটা জিনিস উদঘাটন করতে পেরেছে! এক্স-রেতে দেখিয়েছে যে, টিম ইন্ডিয়া ভুল কম্বিনেশন নিয়ে টেস্টটায় নেমেছে। ২-০ এগিয়ে থেকে তাদের অবশ্যই পঞ্চম বোলার রাখা উচিত ছিল। রোহিত শর্মার বদলে অমিত মিশ্র! ডান-হাতি দুই পেসারকে রাউন্ড দ্য উইকেট করিয়ে করিয়ে অশ্বিনের জন্য স্পট তৈরির চেষ্টা করছিলেন তাঁর অধিনায়ক। তামিলনাড়ু অফস্পিনার দুটো উইকেট পেলেনও কিন্তু যে গতিতে তিনি ছারখার করেন, সেটা অনন্ত মন্থরতার সামনে এ দিন থমকেছে। বাধ্য হয়ে শিখর ধবনকে আনতে হয়। যিনি জীবনে আজ অবধি মাত্র চার ওভার বল করেছেন, তিনি কিনা আজ একটা স্পেলেই বল করলেন ৩ ওভার। টেস্ট ড্র হলে সিরিজের জয়ের মধ্যেও এ সব বেয়াড়া তথ্য উঠে পড়বে।

এমনিতে ভারত ফেভারিট হিসেবেই সোমবার খেলা শুরু করছে। এখনও দু’তিনটে অতর্কিত বাঁক নেওয়া ডেলিভারি ‘ব্লকাথন’ উপড়ে দিতে পারে। কিন্তু ট্যাকটিক্যাল এত বড় ভুলটাও সে নগ্ন ভাবে দেখিয়েছে। এমন প্রশ্নও উঠতে পারে যে, ডিক্লারেশনের জন্য প্রায় লাঞ্চ অবধি অপেক্ষা কি বেশি দেরি হয়েছিল?

একটা ট্রেন্ড নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন নেই যে, রাহুল দ্রাবিড়ের সার্থক ভাবশিষ্য অজিঙ্ক রাহানে। যে কোটলা নিষ্ঠুর ভাবে আবির্ভাবে ফিরিয়েছিল, সেখানে প্রথম পুনরাবির্ভাবে দু’ইনিংসে সেঞ্চুরি করলেন রাহানে। হাজারে, গাওস্কর, দ্রাবিড় আর কোহলি ছাড়া কোনও ভারতীয় ব্যাটসম্যানের এক টেস্টের দু’ইনিংসে সেঞ্চুরি নেই। অথচ ‘ব্লকাথনে’ তাঁর ইনিংসটা পুরো চাপা পড়ে গেল। সর্বগ্রাসী আলোচনায় মনে হচ্ছে আজকের দিনটা যেন আমলাদের ইনিংস থেকেই শুরু হয়েছিল।

এটাও তো দ্রাবিড় বংশের সফল উত্তরাধিকার যে, টিমের পক্ষে তুমি দারুণ নির্ভরযোগ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। কিন্তু প্রচারের আলোয় তোমার অধিকার থাকবে কম। অকস্মাৎ চাঞ্চল্যকর কিছু ঘটে-টটে তার তলায় চাপা পড়ে যাবে তোমার সব কীর্তি!

ভারত প্রথম ইনিংস: ৩৩৪
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংস: ১২১
ভারত দ্বিতীয় ইনিংস (আগের দিন ১৯০-৪)

কোহলি এলবিডব্লিউ অ্যাবট ৮৮
রাহানে নঃআঃ ১০০
ঋদ্ধিমান নঃআঃ ২৩
অতিরিক্ত ৪
মোট ২৬৭-৫
পতন: ৪, ৮, ৫৩, ৫৭, ২১১
বোলিং: মর্কেল ২১-৬-৫১-৩, অ্যাবট ২২-৯-৪৭-১, পিয়েড ১৮-১-৫৩-০, তাহির ২৬.১-৪-৭৪-১, এলগার ১৩-১-৪০-০।

দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংস

এলগার ক রাহানে বো অশ্বিন ৪
বাভুমা বো অশ্বিন ৩৪
আমলা ব্যাটিং ২৩
ডে’ভিলিয়ার্স ব্যাটিং ১১
মোট ৭২-২।
পতন: ৫, ৪৯।
বোলিং: ইশান্ত ১২-৭-১৬-০, অশ্বিন ২৩-১৩-২৯-২, জাডেজা ২৩-১৬-১০-০, উমেশ ৯-৬-৬-০, ধবন ৩-১-৯-০, বিজয় ২-০-২-০।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE