সেঞ্চুরির পর বাংলার শ্রীবৎস গোস্বামী। ছবি: পিটিআই।
বাংলা ৩২৯/৪
ঝাড়খণ্ড ২৮৮
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভোকাল টনিক তো ছিল। সঙ্গে ছিল ম্যাচ পিছিয়ে পালাম থেকে ফিরোজ শাহ কোটলায় চলে যাওয়া। বাংলার লাকি গ্রাউন্ড। আর সেখান থেকেই সেমিফাইনালে ধোনির ঝাড়খণ্ডকে হারিয়ে বিজয় হাজারের ফাইনালে পৌঁছে গেল বাংলা। ৪১ রানে হারাল ধোনিদের। ব্যাট হাতে ধোনির লড়াই কাজে দিল না।
আরও খবর: পূজারার ব্যাটে লড়ছে ভারত, সঙ্গী ঋদ্ধিমান
শনিবার টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। প্রথমে ব্যাট করে জোড়া সেঞ্চুরির সৌজন্যে বাংলার মোট রান পৌঁছে যায় ৩২৯এ। নির্ধারিত ওভারে বাংলা শেষ করে ৩২৯/৪এ। দুই ওপেনার শ্রীবৎস গোস্বামী ও অভিমন্যু ঈশ্বরণের ঝোড়ো ব্যাটেই রাস্তাটা তৈরি হয়ে গিয়েছিল। দু’জনের ব্যাট থেকেই এল ১০১ রান। শ্রীবৎস ১০১ রান করলেন ৯৯ বলে। তাতে ছিল ১১টি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি। অভিমন্যুর ১০১ এল ১২১ বলে। তাতে ছিল সাতটি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি। এর পর এই ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যান স্বয়ং অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। ৭৫ রা করে অপরাজিত থাকেন তিনি। অগ্নিভ পান ১৯, সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ১৯ রান করে আউট হন। ঝাড়খণ্ডের হয়ে দুটো উইকেট নেন বরুণ অ্যারন, একটি উইকেট মনু কুমারের। রান আউট হন অভিমন্যু ঈশ্বরণ।
জবাবে ব্যাট করতে এসে নির্ধারিত ওভারে ২৮৮ রানেই শেষ হয়ে যায় ঝাড়খণ্ডের ইনিংস। দুই ওপেনারের কেউই দাঁড়াতে পারেননি। বিরাট সিংহ ২৪ ও প্রত্যুশ সিংহ ১১ রান করে ফিরে গেলে কুমার দেওব্রাত (৩৭) ও সৌরভ তিওয়ারি (৪৮) ঝাড়খণ্ডের ইনিংসকে কিছুটা ভরসা দেন। এর পর হাল ধরেন স্বয়ং ধোনি। সঙ্গে ইশাঙ্ক জাগ্গি। ধোনির ব্যাট থেকে আসে ৭০ রান। জাগ্গি খেলেন ৫৯ রানের ইনিংস। কিন্তু তার পর আর কেউই ঝাড়খণ্ডের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি। ৪১ রান বাকি থাকতেই শেষ বলে অল-আউট হয়ে যায় ঝাড়খণ্ড।
সেঞ্চুরির অন্য নায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন।
ম্যাচের সেরা হয়েছেন শ্রীবৎস গোস্বামী। বাংলার হয়ে পাঁচ উইকেট নেন প্রজ্ঞ্যান ওঝা। জোড়া উইকেট কনিষ্ক শেঠ ও সায়ন ঘোষের। একটি উইকেট নেন অশোক দিন্দা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy