অনেক মশলা ছিল শেষ সেমিফাইনালে। ঘরের মাঠে কলকাতার হার তো ছিলই। ছিল একাধিক গোল নষ্টের হতাশা। সঙ্গে শেষ মুহূর্তে রেফারি, লাইন্সম্যানের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে মাঠ ছাড়তে হল কলকাতা কোচ হাবাসকে। ফিকরু-হাবাসও জড়ালেন কথা কাটাকাটিতে। এই সবের মধ্যেই দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ২-১ গোলে হেরে ৪-২ এর ব্যবধানে ম্যাচ ছিনিয়ে নিল চেন্নাইয়ান এফসি। ফাইনালে মুখোমুখি গোয়া ও চেন্নাই।
তিন গোলে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে জয় ছিনিয়ে নেওয়া সহজ ছিল না হাবাস অ্যান্ড ব্রিগেডের। হয়ওনি। হলে মিরাক্কেল হতে পারত আইএসএল-এ। ৪-২ গোলে হেরে এ বারের মতো আইএসএল থেকে বিদায় নিতে হল এটিকে-কে। গত বারের চ্যাম্পিয়ন আটলেটিকো কলকাতার এবার আর ফাইনালে যাওয়া হল না। প্রথম সেমিফাইনালে পুণের মাঠেই আটলেটিকোর হারের কাহিনি লেখা শুরু হয়ে গিয়েছিল। তিন গোলে পিছিয়ে থেকে শুরু করে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব ছিল না। তাও ঘরের মাঠে একটা মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছিলেন অর্ণব, দ্যুতিরা। দলে দুটো পরিবর্তন করেছিলেন হাবাস। নাতো ও বোরহার জায়গায় দলে এসেছিলেন মোহনরাজা ও লেকিচ। যাঁর পা থেকে এল ম্যাচের একমাত্র গোলটি। ম্যাচ শুরুর ২২ মিনিটেই গোল করে কলকাতাকে এগিয়ে দিয়েছিল লেকিচ। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হল না। কলকাতাকে ফাইনালে যেতে হলে চার গোলের ব্যবধানে জিততে হত। শুরুতে লেকিচের গোল একচিলতে আশার আলোর দেখিয়েছিল ঠিকই। কিন্তু ম্যাচ যত গড়াল সেই আশাও শেষ হয়ে গেল।
প্রথমার্ধ ১-০ গোলে এগিয়েই দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমেছিল কলকাতা। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারল না আটলেটিকো কলকাতা। কখনও বেটের হাতে জমা পড়ল গোলমুখী শট আবার কখনও গোলের পাশ কাটিয়ে পেরিয়ে গেল লাইন। কখনও লেকিচ কখনও হিউম আবার কখনও দ্যুতির শট দক্ষতার সঙ্গে বাঁচালেন কলকাতারই প্রাক্তন এদেল বেটে। কলকাতা যা সুযোগ পেল তাতে জিতে যেতে পারত শেষ মুহূর্তে ব্যাবধান কমালেন ইয়ান হিউম। তখনও ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের বাকি তিন মিনিট। চেন্নাই তেমনভাবে এদিন সুযোগ তৈরি করতেই ব্যার্থ। তাও শেষ হাসি হেসে গেল অভিষেক বচ্চনের দলই। ৮৯ মিনিটে কর্নার থেকে হিউমের হেড ক্রসবারে লেগে বেড়িয়ে যায়। অতিরিক্ত মিনিটে কলকাতার সব হাসি কেড়ে নিল চেন্নাইয়ের ফিকরু। দুই প্রাক্তনের হাতেই শেষ হয়ে গেল সব আশা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy