২০০৬ সালের পর আবার। আইসিসির বর্ষ সেরার তালিকায় একজন ভারতীয়রও নাম নেই। মাঝে ২০১১ সালেও কোনও ভারতীয় ক্রিকেটার এই তালিকায় ছিলেন না। কিন্তু দলগতভাবে স্পিরিট অফ ক্রিকেট পুরস্কার পেয়েছিল ভারত। এবার তাও নেই।
বুধবারই এই বছরের সেরা ক্রিকেটারের তালিকা প্রকাশ করেছে আইসিসি। সেরা ক্রিকেটার হয়েছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। শুধু সেরা ক্রিকেটারই নয় সেরা টেস্ট ক্রিকেটারও হয়েছেন তিনি। পুরস্কার পেয়ে স্মিথ বলেন, ‘‘সারা বিশ্বে এত বড় বড় ক্রিকেটারের মধ্যে থেকে আমাকে বেছে নেওয়াটা আমার জন্য বড় প্রাপ্তি। দলের সাফল্য সব সময়ি আমার এক নম্বর লক্ষ্য থাকে। আমি খুব খুশি।’’
সেরা একদিনের ক্রিকেটার দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডিভিলিয়ার্স। এই নিয়ে পর পর দু’বার এই পুরস্কার ছিনিয়ে নিলেন তিনি। টি২০ তে সেরা ক্রিকেটার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকারই ফাফ ডু প্লেসি। অস্ট্রেলিয়ার বোলার হ্যাজেলউড পেলেন ইমার্জিং ক্রিকেটার অফ দি ইয়ারের পুরস্কার। স্পিরিট অফ ক্রিকেট পুরস্কার পেলেন নিউজিল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাকালাম।
২০০৪ এ প্রথম শুরু হয়েছিল এই পুরস্কার। যেখানে বাজিমাত করেছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। ২০০৫ ও ২০০৬ এই দু’বছর কোনও ভারতীয় এই তালিকায় ছিলেন না। এর পর আবার ২০০৭ এ ঝুলন গোস্বামীর হাত ধরে আইসিসি পুরস্কারে ফেরে ভারত। ২০০৮ এ একদিনের সেরা ক্রিকেটার হয়েছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। সঙ্গে ছিলেন যুবরাজ সিংহ টি২০র সেরা হয়ে। ২০০৯ এও ছিল জোড়া ভারতীয়। সেরা টেস্ট প্লেয়ার হয়েছিলেন গৌতম গম্ভীর ও সেরা একদিনের প্লেয়ার হয়েছিলেন এমএস ধোনি। ২০১০ এ ছিল ভারতের রমরমা। সেরা ক্রিকেটারের পাশাপাশি পিপল চয়েস পুরস্কারও পেয়েছিলেন সচিন তেন্ডুলকর, সেরা টেস্ট প্লেয়ার ছিলেন বীরেন্দ্র সহবাগ। সেরা টেস্ট টিম হয়েছিল ভারত। ২০১২তে সেরা একদিনের পুরস্কার তুলে নিয়ে ভারতের মান রেখেছিলেন বিরাট কোহলি। ২০১৩ ছিল চেতেশ্বর পূজারা ও এমএস ধোনির। গত বছরও পিপলস চয়েস পুরস্কার তুলে নিয়ে তালিকায় ভারতকে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। কিন্তু ২০১৫টা ভাল গেল না ভারতের।