প্রতীকী চিত্র।
ক্রিকেটের ইতিহাসে ১১ নম্বর ব্যাটসম্যানের ব্যাটিংয়ের রেকর্ডটা তর্কাতিত ভাবে করুণতম। ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান ক্রিজে বেশি ক্ষণ থাকবেন না বা স্কোরারদের বিশেষ বিরক্ত করবেন না, এটাই ধরে নেওয়া হয়। কিন্তু ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান এসে যদি অপরাজিত ১৫০ রানের একটা ইনিংস খেলেন! শুধু তা-ই নয়, অবিচ্ছেদ্য দশম উইকেটে ২২০ রানের পার্টনারশিপ করে দলকে জয়ের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেন! চমকে দেওয়ার মতো এমনই ঘটনা ঘটছে নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া লিগের একটি খেলায়।
খেলা হচ্ছিল নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস এবং বে অব প্লেন্টির মধ্যে। নর্দার্ন তখন ১৮৯/৯ অবস্থায় রীতিমতো ধুঁকছে। তখনই ব্যাট করতে নামলেন ফ্রেডি ওয়াকার। ফ্রেডির শেষ ছ’ইনিংসের মোট রান ৫৪। তাই তাঁর কাছে বোধহয় বিশেষ কিছু আশা করেনি দলও। কিন্তু ক্রিজে নেমেই রুদ্রমূর্তি ধরেন ফ্রেডি। পর পর মারতে থাকেন ছয়, চার। ফ্রেডির ১৫০-এর পর ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয় দল। নর্দার্ন তখন ৪০৯/৯। দশম উইকেটে অনীশ দেশাইয়ের সঙ্গে যোগ করলেন অবিচ্ছেদ্য ২২০ রান। ১৬৫ রানে অপরাজিত থেকে গেলেন অনীশও। তবে তিনি দলের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।
আরও পড়ুন: ভারতীয় এবং বিদেশি ক্রিকেটারদের এই ডাক নামগুলো জানতেন কি?
এই নিউজিল্যান্ডই বিশ্ব ক্রিকেটকে ‘উপহার’ দিয়েছে বিখ্যাত ১১ নম্বর ক্রিস মার্টিনকে। যিনি ৭১ টেস্টে ৩৬ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন। এক নম্বরে অবশ্য রয়েছেন কোর্টনি ওয়ালশ। ১৩২ টেস্টে ৪৩ বার ডাক করেছেন তিনি।
তবে ১১ নম্বরে নেমে সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ড কিন্তু বেশ পুরনো। ১৯৪৭ সালে এসেক্সের বিরুদ্ধে ডার্বিশায়ারের পিটারে স্মিথের ১৬৫ এই তালিকায় রয়েছে এক নম্বরে। এমনকী দশম উইকেটে ২২০ রানও সর্বোচ্চ নয়। এ ক্ষেত্রে এক নম্বরে রয়েছে অ্যালান কিপ্যাক্স এবং হাল হুকারের ৩০৭ রানের পার্টনারশিপ। ১৯২৮ সালে শেফিল্ড শিল্ডে এই অনন্য নজির গড়েছিলেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy