Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
মেসির ‘সোনার বল’ প্রাপ্তি নিয়ে সিআর সেভেন

‘মুখ খুললেই পুলিশে ধরবে’

ব্রাজিল বিশ্বকাপে লিওনেল মেসিকে সোনার বল দেওয়ার পিছনে রহস্যটা কী? কোন যুক্তিতে আর্জেন্তিনীয়কে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল বলে তাঁর মনে হয়? নাহ্, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো মুখ খুলতে চান না। মুখ খুললে নাকি পুলিশে ধরবে!

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৪ ০৩:৩০
Share: Save:

ব্রাজিল বিশ্বকাপে লিওনেল মেসিকে সোনার বল দেওয়ার পিছনে রহস্যটা কী? কোন যুক্তিতে আর্জেন্তিনীয়কে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল বলে তাঁর মনে হয়?

নাহ্, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো মুখ খুলতে চান না। মুখ খুললে নাকি পুলিশে ধরবে!

মেসির সঙ্গে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ কথাবার্তা বলার পর দিনই আবার চেনা মেজাজে ফিরে এলেন রোনাল্ডো। বিশ্বকাপের সময়ই মেসির সোনার বল পাওয়া নিয়ে প্রচুর সমালোচনা হয়েছিল। দিয়েগো মারাদোনার মতো কিংবদন্তিও ফিফাকে ছেড়ে কথা বলেননি ওই নির্বাচনের জন্য। মারাদোনা মুখ খুলেছিলেন। সমালোচনা করেছিলেন সিদ্ধান্তের। রোনাল্ডো সরাসরি কিছু বলেননি। কিন্তু ঘুরিয়ে যা বলেছেন সিআর সেভেন, তাতে স্পষ্ট বিশ্বকাপে মেসির সেরা ফুটবলারের সম্মান পাওয়া নিয়ে কতটা ক্ষোভ তাঁর মধ্যে জমা হয়ে আছে।

বৃহস্পতিবার রাতে একটি অনুষ্ঠানে সেরা ফুটবলারের পুরস্কার নিতে গিয়েছিলেন রোনাল্ডো। সেখানেই তাঁকে ধরে প্রশ্নটা করে মিডিয়া। রোনাল্ডোকে জিজ্ঞেস করা হয়, কী ভাবে মেসি পুরস্কারটা পেয়েছিলেন বলে তাঁর মনে হয়? জবাবে রোনাল্ডো বলেন, “সবাই তো দেখেছে ব্যাপারটা। সবার নিশ্চয়ই এটা নিয়ে একটা মতামতও আছে। আসলে ফুটবল বিশ্বের লোকজনেরা খুবই বুদ্ধিমান। আর মেসির জন্যও প্রশ্নটা বেশ আকর্ষণীয় বলেই মনে হয়। আমাকে জিজ্ঞেস করে লাভও নেই। কারণ সৎ ভাবে কোনও উত্তর আমি দিতে পারব না।’’ তার পরপরই বলে দেন, এটা নিয়ে কথা বললে তাঁকে নাকি পুলিশ ফোন করবে।

তবে ঠারেঠোরে মেসির প্রতি ফিফার ‘স্নেহ’-র কথা রোনাল্ডো নাকি বুঝিয়ে দিয়েছেন। পর্তুগিজ চ্যানেলে দেওয়া ইন্টারভিউয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, ফিফার হয়তো একটা ‘দায়িত্ব’ আছে মেসির ব্যাপারে। বিশ্বকাপে মেসি সোনার বল পাওয়ার পরপর অনেকেরই মনে হয়েছিল এটা ফিফার বাণিজ্যিক স্ট্র্যাটেজি। মেসির যারা স্পনসর, তাদের চাপেই ব্যাপারটা হয়েছে। রোনাল্ডোও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে মেসি নন, তাঁর চেয়ে অনেক যোগ্য ফুটবলার ছিলেন পুরস্কারটা পাওয়ার ব্যাপারে। যেমন ম্যানুয়েল ন্যয়ার। যেমন হামেস রদ্রিগেজ।

চব্বিশ ঘণ্টা আগেও এক সাক্ষাৎকারে মেসিকে কখনও ‘কাজের জায়গায় বন্ধু’, কখনও ‘ফুটবলের সতীর্থ’ বলেছিলেন রোনাল্ডো। বলেছিলেন, মেসির সঙ্গে দ্বৈরথ মিডিয়ার তৈরি। তিনি চান, মেসির সঙ্গে যুদ্ধটা বিতর্কে নয়, শেষ করতে দু’জনে হাসতে-হাসতে।

চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো বুঝিয়ে দিলেন, তেল আর জলে আজও মেশে না!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE