সেঞ্চুরি হল না। গাপ্টিলকে ক্যাচ দিচ্ছেন পূজারা। শুক্রবার। ছবি: উৎপল সরকার
দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন ইডেনে দারুণ একটা লড়াই দেখা গেল। প্রথম দিনের শেষে কোনও টিমকেই এগিয়ে রাখা যাচ্ছে না। ভারত প্রাথমিক ধাক্কাটা কাটিয়ে লড়াইয়ে ফিরলেও নিউজিল্যান্ড কিন্তু লাস্ট সেশনে চারটে উইকেট তুলে দিনটা ভালই শেষ করল। ভারতকে প্রথম দিন ২৫০ রানের মধ্যে বেঁধে রাখল ওরা। তবে দ্বিতীয় দিন সকালে ওদের ভারতের বাকি তিনটে উইকেট তুলে নেওয়ার ব্যাপারটাও সামলাতে হবে। সেটা পারলে টেস্ট ম্যাচটা কিন্তু জমে যাবে।
আমি তো বলব, ইডেনের পিচ যথেষ্ট ভাল। বাউন্স আছে। ক্যারি করছে। ব্যাটে বলটাও আসছে ভাল। ফলে শট খেলার সুযোগ পাচ্ছে ব্যাটসম্যানরা। তবে টেস্ট যত এগোবে পিচের আচরণে কিন্তু কিছু পরিবর্তন আসবে।
এ বার ভারতের ব্যাটিংয়ের প্রসঙ্গে আসি। পূজারা আর রাহানের পার্টনারশিপটা দারুণ লাগল দেখে। বিশেষ করে লাঞ্চের পরের সেশনে যখন দু’জনেই সহজে রান তুলছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পর পূজারার স্ট্রাইক রেট, সঙ্গে টিমে জায়গা থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। আশা করি শুক্রবারের পারফরম্যান্সের পর সেগুলো চাপা পড়বে। কন্ডিশন আর স্ট্রাইক রেটের ব্যাপারটা ভুলে গিয়ে ভারতের জন্য পূজারা এখন তিন নম্বরে মাস্ট। টিমের দরকার ছিল এমন এক জন ব্যাটসম্যানের যে এ রকম পিচে কামড়ে পড়ে থাকবে। পূজারা সেটা অসাধারণ ভাবে সামলেছে।
ইডেনে সাধারণত লাঞ্চের পরের সেশন ব্যাটিংয়ের জন্য সেরা সময় বলেই সবাই জানে। সেটা দ্রুত গতির আউট ফিল্ডের জন্য। শটের পুরো দামটা পাওয়া যায়। পূজারা আর রাহানে দু’জনেই শুরু দিকে ধৈর্য ধরে খেলছিল। দ্রুত তিনটে উইকেট পড়ে যাওয়ায় নিউজিল্যান্ডের ধারালো বোলিং আক্রমণকে দু’জনের এই ব্যাটিং ভোঁতা করে দেয়। তার পর পাল্টা নিউজিল্যান্ডকে চাপে ফেলে দিতে শুরু করে ওরা। দু’জনেরই বড় রান পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু হঠাৎ মনঃসংযোগ নষ্ট হওয়ায় দু’জন আউট হয়ে গেল।
কেন উইলিয়ামসন না থাকায় নিউজিল্যান্ডের ক্যাপ্টেনের দায়িত্ব সামলানো রস টেলরকে কিন্তু বড় ভূমিকা নিতে হবে। উইলিয়ামসনের অনুপস্থিতিতে রস টেলরই এখন ওদের ব্যাটিংয়ের বড় ভরসা। নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে ছাপ ফেলতে হলে বড় ভূমিকা নিতে হবে রস টেলরকে। ভারতের দিক থেকে বলব, পিচ থেকে প্রচুর সাহায্য পাবে ওরা। ফলে বোলিংটা উপভোগ করবে বলেই মনে হয়। শুক্রবার যে রকম আবহাওয়া ছিল আগামী কটা দিনও তেমন থাকলে এই টেস্ট কিন্তু জমে যাবে। যার টানে দর্শকরা গ্যালারি ভরাবেন বলেই মনে হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy