Advertisement
E-Paper

সেরিনার বাইশে কাঁটা সেই মুগুরুজা

শনি-রবি। পরপর দু’দিন। রোলাঁ গারোয় টেনিসের ইতিহাসে দু’টো মাইলফলক গড়ার প্রবল সুযোগ। ফরাসি ওপেন ফাইনাল সেরিনা জিতলে মার্কিন কিংবদন্তি ‘বাইশ’-এ পৌঁছে স্টেফি গ্রাফের সর্বাধিক (২২) গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার রেকর্ড স্পর্শ করবেন।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৬ ০৪:৩৮
মুগুরুজার চ্যালেঞ্জ আজ সামলাতে পারবেন সেরিনা? -এএফপি

মুগুরুজার চ্যালেঞ্জ আজ সামলাতে পারবেন সেরিনা? -এএফপি

শনি-রবি। পরপর দু’দিন। রোলাঁ গারোয় টেনিসের ইতিহাসে দু’টো মাইলফলক গড়ার প্রবল সুযোগ। ফরাসি ওপেন ফাইনাল সেরিনা জিতলে মার্কিন কিংবদন্তি ‘বাইশ’-এ পৌঁছে স্টেফি গ্রাফের সর্বাধিক (২২) গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার রেকর্ড স্পর্শ করবেন। পুরুষ ফাইনালে জকোভিচ জিতলে একমাত্র অধরা ফরাসি ওপেন চ্যাম্পিয়ন হয়ে পূর্ণ করবেন কেরিয়ার গ্র্যান্ড স্ল্যাম। মাত্র অষ্টম পুরুষ হিসেবে।

রোলাঁ গারোর মেয়েদের ফাইনালে গত বারের উইম্বলডনের রিপ্লে! সেই সেরিনা বনাম মুগুরুজা চূড়ান্ত লড়াই। ইতিহাসের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকলেও সেরিনা কিন্তু ভাল খেলছেন না। এ দিনই সেমিফা‌ইনালে দু’টো সেট পয়েন্ট বাঁচিয়ে শেষমেশ অবাছাই ডাচ তরুণী কিকি বার্টেন্সকে বশ করেন ৭-৬ (৯-৭), ৬-৪। যা দেখে প্রাক্তন চ্যাম্পিয়ন মেরি পিয়ার্স বলেছেন, ‘‘সেরিনার আজ জয় আমার কাছে অপ্রত্যাশিত। কারণ ও মোটেই জেতার মতো খেলেনি। প্রথম সেটটা তো ভাগ্যক্রমে জিতেছে। দু’টো সেট পয়েন্ট পেয়ে গিয়েও জীবনের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম সেমিফাইনাল খেলার চাপ সামলাতে পারেনি কিকি। তা ছাড়া সেরিনাকে কোর্ট বদলানোর সময় একটু খুঁড়িয়ে হাঁটতেও দেখলাম যেন!’’ কিন্তু পিয়ার্স এও বলেছেন, ‘‘তবে সেরিনা এ জন্যই বিশ্বের এক নম্বর কেননা এ রকম ম্যাচও জেতার কোনও একটা রাস্তা ঠিক বার করে নেয় ও। নইলে শুধু প্রথম সেটেই ২২টা আনফোর্সড এরর করা কেউ শেষমেশ ম্যাচ জিততে পারে!’’

সেরিনাও সেমিফাইনাল শেষে কোর্টেই প্রায় নিখুঁত ফরাসি উচ্চারণে বলে দেন, ‘‘শনিবারটা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে। আমাকে আরও বেশি ঠান্ডা থাকতে হবে।’’ অন্য ম্যাচে স্তোসুরকে ৬-২, ৬-৪ হারিয়ে মুগুরুজা-র রোলাঁ গারোয় অ্যান্ডি মারের মতোই প্রথম ফাইনালে ওঠা। সেখানে সেরিনা এ দিন ২৭তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে ওঠেন। মেয়েদের সর্বকালীন তালিকায় যা পাঁচ নম্বরে। এভার্ট (৩৪), নাভ্রাতিলোভা (৩২), স্টেফি (৩১), মার্গারেট কোর্টের (২৯) পরে। শনিবারের ফাইনালে ফেভারিট কে সেটা এই একটা পরিসংখ্যানেই আন্দাজ পাওয়া যায়! সাধে কি আর পিয়ার্স বলছেন, ‘‘সেরিনাকে খেলতে দেখা মানে সেল্টিক, পিএসজি বা বার্য়ানকে খেলতে দেখা। এরাও যে কোনও অবস্থায় সব সময় জয়ীই হয়। আর সেটা কোনও রসিকতা নয়!’’

রবিবার পুরুষ ফাইনালের লাইন-আপ আবার কী অসাধারণই না! বিশ্বের এক নম্বর জকোভিচ বনাম দুই নম্বর মারে। রোলাঁ গারোতেও যাঁরা প্রথম ও দ্বিতীয় বাছাই। এ দিন সেমিফাইনালে জকোভিচ প্রতিভাবান অস্ট্রিয়ান থিয়েমের চ্যালেঞ্জ স্ট্রেট সেটে চুরমার করে দেন ৬-২, ৬-১, ৬-৪। যিনি আগের দিন কোয়ার্টার ফাইনাল জয়কে ‘ভাগ্যক্রমে’ বলেছিলেন। স্ট্রেট সেট জেতা সত্ত্বেও। আসলে জকোভিচ ওই ম্যাচে একটা পয়েন্ট হারানোর হতাশায় র‌্যাকেট মাটিতে ছুড়ে মারলে সেটা আচমকা লাফিয়ে এক লাইনজাজের দিকে উড়ে যায়। তাঁর গায়ে লাগলে অবধারিত মার্চিং অর্ডার পেতেন চেয়ার আম্পায়ারের। অল্পের জন্য বেঁচে যান সেই লাইনজাজ। তার চেয়েও বেশি বাঁচেন টেনিসের জোকার। অন্য ম্যাচে গত বারের চ্যাম্পিয়ন ওয়ারিঙ্কাকে ছিটকে দেন মারে। ৬-৪, ৬-২, ৪-৬, ৬-২।

Serena Williams French Open
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy