টিম বিরাট। ছবি: এএফপি।
খোলাখুলি একটা কথা বলি। গত কয়েক মাসে ঘরের টিমের থেকে আমরা কয়েকটা দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখেছি। দেখে মনে হচ্ছে যেন আমরা স্বপ্নের কোনও দেশের বাসিন্দা, যেখানে সবাই সুপারম্যান। কোনও জাদুস্পর্শে হাওয়ায় ভাসছে সুমধুর সঙ্গীত। আসলে কোনও ব্যক্তি বা টিম যখন দারুণ কিছু করে, তখন সেটাকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত, তার প্রশংসা করা উচিত।
বিরাট কোহালি একাই ক্রিকেটের ধর্মগ্রন্থে নতুন সব স্তবক জুড়ে যাচ্ছে। কিন্তু ওর আশেপাশে যারা আছে, তারাও তো এখন অলীক পর্যায়ে চলে গিয়েছে। জয়ন্ত যাদব, করুণ নায়ার বা কেদার যাদব যদি এর পরে আর কিছু না-ও করে, তা হলেও ওদের কীর্তির জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ভারতের নতুন প্রজন্ম নানা বাধা পেরিয়ে নিজেদের মেলে ধরছে। এটাই যদি দেশের তরুণদের চরিত্র হয়, তা হলে টিমটা নিরাপদ হাতেই আছে।
এর পর বিশ্বাস করাই যায় যে, অতীত হীনমন্যতার ছিটেফোঁটাও এই টিমে আর অবশিষ্ট নেই। অতীতের কোনও বাড়তি ওজন তো নেই-ই, বরং বর্তমানে যথেষ্ট পরিমাণে নিজস্ব অস্ত্র আছে। এক দিক দিয়ে দেখলে এটা কিন্তু আইপিএলের উপহার। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে, বিভিন্ন পরিবেশ থেকে হিরে তুলে এনেছে আইপিএল। আর এক দিক দিয়ে এটা একটা দাবিও। তরুণ প্রতিভাদের এ রকম মঞ্চ দিয়ে যাওয়ার দাবি, যাতে তারা আমাদের চোখ এড়িয়ে না যায়।
গত কয়েক সপ্তাহে বেশ কয়েকটা দিন দারুণ খেলেও ইংল্যান্ডকে হার মানতে হয়েছে। ওরা যে সাহস আর স্টাইল দেখিয়েছে, ম্যাচের ফলাফলে তার কোনও প্রতিফলন নেই। ওদের এই লড়াইটা যে এখন পর্যন্ত অনর্থক থেকে গিয়েছে, সেটা ওদের মনোবল চুপসে দিতে পারে। বা দারুণ ভাবে অনুপ্রাণিত করতে পারে। সবচেয়ে বড় সমস্যা ওদের বোলারদের নিয়ে। কোহালি আর ওর লুঠেরার দলকে কী ভাবে বল করবে, তার কোনও উপায় ওদের হাতে পড়ে নেই। যুবরাজ আর ধোনিও এ বার নড়েচড়ে বসলে ফের জোড়া ধাক্কা খাবে ইংল্যান্ড।
পুণেয় ইংল্যান্ডের পঞ্চম বোলার যে প্রচুর রান দিয়েছে, সেটা নিশ্চয়ই কারও নজর এড়ায়নি। স্পিন বিকল্পও কাজ করেনি। কিন্তু তবু কটকে গিয়ে স্পিনার না খেলিয়ে উপায় নেই। এই ম্যাচে ইংল্যান্ড চাইবে পরে ব্যাট করতে। কারণ প্রথমে ব্যাট করলে কখনওই নিশ্চিত হওয়া যাবে না যে, যথেষ্ট রান তোলা গিয়েছে কি না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy