Advertisement
E-Paper

ব্রাজিলীয় ছাত্রীর সঙ্গে নিশিযাপনের ছবি ফাঁস, বিতর্কে বোল্ট

রিওর ট্র্যাকে আগুন ঝরানোর পরেও যে তাঁর মধ্যে বিস্ফোরণ আরও বাকি ছিল, কে জানত! রিও অলিম্পিক্সে উসেইন বোল্টের সঙ্গে একসঙ্গে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত শব্দবন্ধ যদি হয় ‘ট্রিপল ট্রিপল’, তা হলে দু’নম্বরে রাখতেই হবে তাঁর বান্ধবীর নাম— কাসি বেনেট। লাস্যময়ী তরুণীর সঙ্গে গত দু’বছরের সম্পর্ক রয়েছে বোল্টের, স্বীকার করেন বোল্টের বোন ক্রিস্টিন।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৬ ০৩:৫৪

রিওর ট্র্যাকে আগুন ঝরানোর পরেও যে তাঁর মধ্যে বিস্ফোরণ আরও বাকি ছিল, কে জানত!

রিও অলিম্পিক্সে উসেইন বোল্টের সঙ্গে একসঙ্গে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত শব্দবন্ধ যদি হয় ‘ট্রিপল ট্রিপল’, তা হলে দু’নম্বরে রাখতেই হবে তাঁর বান্ধবীর নাম— কাসি বেনেট। লাস্যময়ী তরুণীর সঙ্গে গত দু’বছরের সম্পর্ক রয়েছে বোল্টের, স্বীকার করেন বোল্টের বোন ক্রিস্টিন। ঐতিহাসিক ট্রিপল ট্রিপলের পরে এ-ও বলেন, ‘‘এ বার নিশ্চয়ই ভাই ওকে বিয়ের প্রস্তাব দেবে।’’

কিন্তু কোথায় কী! অলিম্পিক্সে তাঁর শেষ দৌড়ের পরের দিন বোল্টের তিরিশতম জন্মদিন ছিল। যেখানে লাগামছাড়া সেলিব্রেশন হবে, জানা ছিল। কিন্তু এতটা হবে, বোধহয় কেউ ভাবতে পারেনি। ভাবতে পারেনি, বান্ধবীর পরিচয় প্রকাশ্যে আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বোল্টের ছবি ছেয়ে যাবে ইন্টারনেটে। ছবি মানে, আর এক তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছবি!

এ দিন ঠিক সেটাই হল। ‘ও গ্লোবো’-সহ ব্রাজিলের বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ভেসে উঠল একজোড়া ছবি। সাদা টপ পরা এক তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে বসে ঊর্ধ্বাঙ্গ অনাবৃত বোল্ট। আর অন্যটায় সেই তরুণীকে জড়িয়ে বিছানায় শুয়ে জামাইকান, তরুণীর গালে চুমু খাচ্ছেন।

তরুণীর নাম জেডি ডুয়ার্টে। কুড়ি বছরের ছাত্রী নাকি জানতেনই না, কার সঙ্গে রাত কাটাচ্ছেন। ছবিগুলো হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর বন্ধুদের পাঠাতে গিয়ে নাকি ইন্টারনেটে ‘লিক’ হয়ে যায়। যার পর নিশিসঙ্গীর পরিচয় জানতে পারেন জেডি এবং বলেন, ‘‘লজ্জায় মরে যাচ্ছি।’’ বাকি রাত কী ভাবে কেটেছিল, হয়তো লজ্জাতেই তার বিস্তারিত বিবরণ দিতে পারেননি জেডি। শুধু বলেছেন, ‘‘সব কিছু খুব স্বাভাবিক ছিল।’’

ব্যাপারটা প্রকাশ্যে আসার পরে কাসি রহস্যময় একটা টুইট করেন, ‘আবিষ্কারটা না হলেই ভাল হত।’ টুইটের বিষয়বস্তু জেডি-বোল্ট কি না, পরিষ্কার নয়। তবে বোল্ট ব্যাপারটা নিয়ে যে খুব একটা চিন্তিত, তেমন ভাবার কারণ তিনি নিজে অন্তত দেননি। বরং বোল্টের বিন্দাস বক্তব্য, ‘‘আমাদের দেশে নারী-পুরুষের একাধিক সঙ্গী থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। আর সেলিব্রিটি হিসেবে শুধু একজন মহিলার সঙ্গে থাকাটা ভীষণ কঠিন। মেয়েরা আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। আর সেটা আমাদের, মানে ছেলেদের প্রতি খুব অন্যায়। ‘না’ বলাটা খুব কঠিন হয়ে যায়, বুঝতে পারছেন তো?’’

এই পর্যন্ত ব্যাপারটাকে স্রেফ প্রেম ত্রিভূজ মনে হতে পারে। কিন্তু তাতে বাড়তি একটা মাত্রা যোগ করেছে জেডির পরিচয়। তিনি নিজেকে ‘ছাত্রী’ বললেও ব্রিটিশ সংবাদপত্রের দাবি, জেডি আসলে কুখ্যাত ড্রাগ মাফিয়ার স্ত্রী ছিলেন। পুলিশ শুটআউটে মারা যাওয়া সেই ড্রাগ লর্ডের নাম ডগলাস ডোনাটো পেরেরা। যদিও তিনি বেশি পরিচিত ‘ডিনা টেরর’ নামে। উত্তর রিওর মাদকদ্রব্য পাচারের ব্যবসা ছিল তাঁর নিয়ন্ত্রণে। তাঁর সঙ্গে দুই সন্তানও রয়েছে জেডির।

জেডির আসল পরিচয় বোল্ট জানতেন কি না, পরিষ্কার নয়। একটা ব্যাপার অবশ্য বেশ স্পষ্ট। প্রেম হোক বা পদক, কোনওটাতেই অল্পে সন্তুষ্ট নন উসেইন বোল্ট!

Rio Olympics Usain Bolt
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy