সেমিফাইনালে পৌঁছনোর উচ্ছ্বাস বাংলা শিবিরে। ছবি: সংগৃহীত।
মহারাষ্ট্র ৩১৮/৬ (৫০ ওভার)
বাংলা ৩২০/৬ (৪৯.৫ ওভার)
মহারাষ্ট্রকে হারিয়ে বিজয় হাজারে ট্রফির সেমিফাইনালে ধোনিদের সামনে বাংলা। ফিরোজ শাহ কোটলায় মহারাষ্ট্রকে এক বল বাকি থাকতে চার উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেলেন মনোজ তিওয়ারিরা। এটাই বাংলার সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মহারাষ্ট্র। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ছ’উইকেট হারিয়ে ৩১৮ রান তোলে বাংলার প্রতিপক্ষ দল। রাহুল ত্রিপাঠি অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন। ৭৪ বলে ৯৫ রান করে আউট হন তিনি। নিখিল নায়েকের ব্যাট থেকে আসে ৬৩ রান। বাংলার হয়ে দুটো করে উইকেট নেন সায়ন গোস্বামী ও আমির গোনি। একটি উইকেট প্রজ্ঞ্যান ওঝার। রান আউট হন নৌশাদ শেখ। জবাবে ব্যাট করতে এসে শুরুতেই প্যাভেলিয়নে ফিরে যান ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরন। তাঁর রান মাত্র ছয়। আর এক ওপেনার শ্রীবৎস গোস্বামীর সঙ্গে বাংলার ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন অগ্নিভ পান। শ্রীবৎসর ব্যাট থেকে ৭৪ ও পানের ব্যাট থেকে ৪৭ রান আসে। এর পর দলের ব্যাটিংয়ের হাল ধরতে নামেন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। যদিও ৪০ রান করে এলবিডব্লু হয়ে ফেরেন তিনি। অপরাজিত ৬০ রানের ইনিংস খেলেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। ৬৬ করে প্যাভেলিয়নে ফেরেন অনুষ্টুপ মজুমদার। মহারাষ্ট্রের হয়ে দু’টি করে উইকেট নেন শ্রীকান্ত মুন্ডে, শামশুজামা কাজি ও কেদার যাদব।
আরও খবর: কাল থেকে রাঁচী টেস্ট, ফিরছেন মুরলী বিজয়
বাংলাকে সেমিফাইনালে পৌংছে অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি বলেন, ‘‘দলের খেলায় আমি খুশি। মানসিকভাবে আমরা সদর্থক রয়েছি আশা করছি এই ধারা আমরা ধরে রাখতে পারব সেমিফাইনালেও। ব্যাটসম্যানরা দারুণ খেলেছে। অনুষ্টুপ আর সুদীপ দারুণ ব্যাট করেছে। ড্রেসিংরুমের পরিবেশ এখন দারুণ ফুরফুরে।’’ গত তিন বছরে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সেমিফাইনালে পৌঁছল বাংলা। ২০১১-১২তে শেষ বিজয় হাজারে ট্রফি জিতেছিল বাংলা। মনোজ বলেন, ‘‘ঝাড়খণ্ড খুব ভাল দল। যে দলই সেমিফাইনালে পৌঁছেছে তারা ভাল খেলেই উঠেছে। ওদের দলে এমএস ধোনি রয়েছে। আমরাও ভাল ক্রিকেট খেলেছি। তবে প্রতিপক্ষকে সমিহ করেও নিজেদের দক্ষতার উপর আস্থা রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy