স্লেজিংয়ে নেই ঋদ্ধি।
ভারতে পা রেখেই স্টিভ স্মিথ স্লেজিং-হুঙ্কার দিলেও ভারতীয় টেস্ট দলের উইকেটকিপার ঋদ্ধিমান সাহা-র কোনও হেলদোল নেই। অস্ট্রেলিয়ার স্লেজিং কী ভাবে সামলাবেন, তা নিয়েও চিন্তিত নন ঋদ্ধি। বরং তাঁর মুখে স্লেজিং উপভোগ করার ভাবনা। হায়দরাবাদে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট খেলে দু’দিন আগে শহরে ফিরে আপাতত বিশ্রামে ঋদ্ধিমান। যতটা পারছেন পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। এই জীবনের মধ্যে অবশ্য ক্রিকেটের প্রবেশ নিষিদ্ধ। তবু বললেন, ‘‘ওরা যদি স্লেজিং করে, তবে আমাদেরও তার পাল্টা জবাব দেওয়ার মতো ক্রিকেটার আছে।’’ তবে সেই দলে তিনি নিজেকে রাখতে চান না। বললেন, ‘‘আমি কোনও দিন স্লেজিং করিনি। একবার স্লেজিংয়ের শিকার হয়েছি অবশ্য। কিন্তু আমার সেই প্রবণতা কোনও দিন হয়নি যে বিপক্ষের ব্যাটসম্যানকে বিরক্ত করে তার মেজাজ খারাপ করে দেব।’’
এটা যে ক্রিকেটেরই একটা অঙ্গ এবং অস্ট্রেলীয়রা প্রায়ই এই পথ অবলম্বন করে থাকেন, তা মনে করিয়ে দিতে ঋদ্ধি বলেন, ‘‘স্লেজিং করা হয় ব্যাটসম্যানদের মনঃসংযোগ নষ্ট করার জন্য। মেজাজ হারিয়ে ব্যাটসম্যানরা যাতে আউট হয়ে যায়, সে জন্য। আমাদের তার দরকার হচ্ছে না। বিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের জন্য আমাদের বোলাররাই এখন যথেষ্ট। অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রেও তা-ই হবে।’’
কিন্তু বিরাট কোহালির মতো আগ্রাসী ক্রিকেটার যে দলের ক্যাপ্টেন, সেই দল পাল্টা স্লেজ করবে না, তাই কখনও হয়? ঋদ্ধি বললেন, ‘‘তেমন কোনও পরিকল্পনার কথা শুনিনি। তবে পুণেতে প্রথম টেস্টের আগে আমাদের যখন প্রস্তুতি হবে, তখন হয়তো এই নিয়ে কথা হবে নিজেদের মধ্যে।’’ কিন্তু ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলীয়দের স্লেজিং কী ভাবে সামলাবেন? বাঙালি উইকেটরক্ষক বললেন, ‘‘একবার স্লেজিংয়ের শিকার হয়েছিলাম। কিন্তু তাতে আমার খারাপ কিছু লাগেনি। তখন মনে হয়েছিল, এটা তো ওরা করতেই পারে। পাত্তা না দিলেই হল। আমি বরং এটা উপভোগ করি। বিপক্ষকে যেন আরও দুর্বল মনে হয়। আর নিজেদের আরও শক্তিশালী মনে হবে।’’ স্মিথ, স্টার্ক, ওয়েডদের বিরুদ্ধেও এই মনোভাব নিয়েই হয়তো নামবেন ঋদ্ধি। কিন্তু ক্যাপ্টেন যদি স্টাম্পের পিছনে দাঁড়িয়ে তাঁকে সমানে স্লেজ করার নির্দেশ দেন? ‘‘আগে তো সে রকম কিছু বলুক, তার পর দেখা যাবে,’’ বঙ্গ তারকার সাফ জবাব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy