উপসাগরীয় দেশে ভোগ্যপণ্যের মতো বিক্রি করা হচ্ছে ভারতীয় মহিলাদের। সচ্ছল ভবিষ্যৎ নয়, রুজির টানে উপসাগরীয় দেশগুলিতে পা রেখে তাই দুঃস্বপ্নের দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। এমনটাই জানিয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মন্ত্রী পাল্লে রঘুনাথ রেড্ডি। সবিস্তার জানিয়ে এ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তিনি বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে চিঠিও দিয়েছেন।
চিঠিতে রঘুনাথ রেড্ডি জানিয়েছেন, অন্ত্রপ্রদেশ তো বটেই পড়শি রাজ্য তেলঙ্গানা থেকেও মহিলাদের কাজের লোভ দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে উপসাগরীয় দেশগুলিতে। পারিশ্রমিক হিসেবে তাদের সামনে রাখা হচ্ছে মোটা টাকার টোপ। এ দেশে পরিচারিকার কাজ করে যত টাকা রোজগারের সম্ভাবনা রয়েছে তার থেকেও তিন গুণ বেশি টাকা দিয়ে বাহরাইন, কুয়েত, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি বা ওমানে পাঠানো হচ্ছে তাঁদের। কিন্তু, ওদেশে পা রাখতেই বাস্তবের কঠিন মাটিতে আছড়ে পড়ছেন তাঁরা। মালিকের অত্যাচারেই হোক বা ভিসা ফুরিয়ে যাওয়া— পালাতে গিয়ে ধরা পড়ে জেলের অন্ধ কুঠুরিতে ঠাঁই মিলছে তাঁদের। রঘুনাথ রেড্ডি বলেছেন, “সৌদিতে চার লাখ থেকে এক লাখ টাকা, বাহরাইন, আমিরশাহি কিংবা কুয়েতে দু’লাখ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিকের টানে বিক্রি করা হচ্ছে মহিলাদের।”
এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬০ লাখ মহিলাদের বাইরে পাঠানো হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে খবর। সম্প্রতি ওখানকার ২৫ জন জেলবন্দি মহিলা ভারত সরকারের কাছে সাহায্যের আর্জি জানান। চিঠিতে ওই মহিলাদের এ দেশে ফেরানোর জন্য কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছেন রঘুনাথ রেড্ডি।
কেন্দ্রের কাছে আবেদনের পাশাপাশি চুপ করে বসে নেই অন্ধ্র সরকারও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্য সরকারের এক শীর্ষ আমলা জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে আগামী মাসেই রাজ্যের মন্ত্রী-সহ একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল পাঠানো হবে উপসাগরীয় অঞ্চলে। তা ছাড়া, জেলবন্দিদের জন্য আইনি সহায়তাও দেবে অন্ধ্র সরকার।
আরও পড়ুন
হেভিলি প্রেগন্যান্ট, ছকভাঙা র্যাম্পে সুপারমডেল ক্যারল
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy