Advertisement
E-Paper

গ্রেফতার হলেন ‘রিভলভার রানি’

অবশেষে পুলিশের জালে উত্তরপ্রদেশের ‘রিভলভার রানি’! মঙ্গলবার রাতে যাঁর কাণ্ডকারখানা দেখে থ হয়ে গিয়েছিল হামিরপুর। এমনকী, বহু দুঁদে পুলিশ অফিসারও যাঁর দাপট দেখে তারিফ করতে বাধ্য হয়েছেন।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০১৭ ০২:৩৮
বর্ষা সাহু

বর্ষা সাহু

অবশেষে পুলিশের জালে উত্তরপ্রদেশের ‘রিভলভার রানি’!

মঙ্গলবার রাতে যাঁর কাণ্ডকারখানা দেখে থ হয়ে গিয়েছিল হামিরপুর। এমনকী, বহু দুঁদে পুলিশ অফিসারও যাঁর দাপট দেখে তারিফ করতে বাধ্য হয়েছেন। যাঁর কাণ্ডকারখানা হার মানিয়েছে বলিউডি ছবির চিত্রনাট্যকেও।

এই কাণ্ডের পরে বহু তল্লাশিতে খোঁজ মেলে সেই তরুণীর। বুন্দেলখণ্ড পুলিশ গ্রেফতার করেছে তাঁকে। কিন্তু এখনও খোঁজ মেলেনি তাঁর প্রেমিকের।

এ দিন থানায় ছাইরঙা সালোয়ার-কুর্তায় বসে থাকতে দেখা গেল বছর পঁচিশের বর্ষা সাহু নামে ওই তরুণীকে। পুলিশি জেরার মুখে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ‘রিভলভার রানি’ তথা বর্ষা। এমনকী, তাঁর দাবি, বন্দুক নিয়ে যাওয়া তো দূর অস্ত্‌, প্রেমিককে অপহরণ করেননি তিনি। প্রেমিকই স্বেচ্ছায় পালিয়েছিলেন।

কাজের সূত্রে তাঁর সঙ্গে পরিচয় ও আলাপ অশোক যাদবের। এর পর প্রেম। কিন্তু হামিরপুরের ভারতী যাদবের সঙ্গে অশোকের বিয়ে ঠিক করেন তাঁর বাড়ির লোকজন। বাড়ির চাপে পড়ে বিয়েতে রাজিও হয়েছিলেন অশোক। আর বর্ষার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তিনি। কিন্তু ছাড়ার পাত্রী নন বর্ষাও। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, তিনি একেবারে বিয়ের মণ্ডপে হাজির হয়েছিলেন। সটান প্রেমিকের সামনে গিয়ে তাঁর কপালে রিভলভার ঠেকিয়ে এক্কেবারে ফিল্মি কায়দায় বলেছিলেন, ‘‘আমাকে ভালবেসে তুমি অন্য কাউকে বিয়ে করবে? এটা আমি মেনে নিতে পারব না।’’ এর পরেই প্রেমিককে তুলে নিয়ে পালিয়েছিলেন।

পুলিশে খবর দেওয়া হলে তদন্তে বেরিয়ে আসে নানা তথ্য। অশোক-বর্ষার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, ওরা দু’জন গোপনে বিয়েও সেরেছিল। বরের বাবাও স্বীকার করেছেন, কিছু গন্ডগোল তো ছিলই। কারণ কর্মসূত্রে তাঁর ছেলে যে বাড়িতে থাকত, সেখানে কখনও তাঁকে নিয়ে যেত না। অশোকের সঙ্গে দেখা করতে গেলে সব সময় বাড়ির বাইরে দেখা করত সে। তদন্তে নামার পর পুলিশ মহলে ধোঁয়াশাটা ছিলই। কারণ, এ ভাবে এক জন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষকে নিয়ে কী ভাবে ওই তরুণী পালালেন, এই প্রশ্নটাই ঘুরপাক খাচ্ছিল। অনেকে তো বলেই দিয়েছিলেন, স্বেচ্ছায় চলে গিয়েছে ওই যুবক।

থানায় বসে বর্ষাও একই দাবি করলেন। তাঁর দাবি, ‘‘আমি ওখানে পিস্তল বা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যাইনি। পুরোটাই মিথ্যে।’’ পাশাপাশি, প্রেমিককে অপহরণের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘বিয়ের দিন অশোক নিজেই এসে গাড়িতে উঠে আমার সঙ্গে পালিয়েছিল।’’

বর্ষার দাবি, তাঁদের সম্পর্কের কথা কনের বাড়ির লোকজনও জানত। এটাও জানত যে, ওই বিয়েতে অশোকের মত নেই। তা সত্ত্বেও তাঁরা বিয়ে ঠিক করেছিলেন।

কার দাবি কতটা সত্য, তা বলতে পারেন অশোকই। ফলে শুধু তাঁরই হদিস মেলার অপেক্ষা!

Bizzare Groom Lover Uttar Pradesh Wedding
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy