চাপ বাড়ল খান্ডু পরিবারের উপরে। আত্মঘাতী প্রাক্তন কালিখো পুলের ডায়েরিতে মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে জেরে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ছিলেন বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী। এ বার তাওায়াংবাসী গণশুনানিতে বৃহৎ বাঁধের বিরুদ্ধে মত দেওয়ায় তিনি আরও বেগতিক অবস্থায় পড়েছেন।
তাওয়াংয়ে একাধিক বাঁধ গড়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পেমার বাবা প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী দোর্জি খান্ডুর সময়ই সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য। ২০০৮ সালে বাঁধ শুরুর জন্য রাজ্য সরকারকে আগাম সাড়ে ৩৭ কোটি টাকা দেয় এনএইচপিসি। অভিযোগ— বাঁধ, সড়কের বরাত কুক্ষিগত করে নেন পেমা ও তাঁর ভাইরা। কিন্তু গাৎসোর নেতৃত্বে সংরক্ষণবাদী বৌদ্ধ লামারা তাওয়াংয়ে বড় বাঁধ গড়ার বিপক্ষে আন্দোলন শুরু করেন। গত বছর গাৎসো গ্রেফতার হন। তাঁকে জামিন না দেওয়ায় বিক্ষোভ হয়। গুলি চলে। দুই যুবকের মৃত্যু হয়। থমকে থাকে বাঁধের কাজ। অভিযোগ ওঠে, তাওয়াং মঠের রিনপোচেকে সামনে রেখে জোর করে বা ধর্মের নামে গরিব মানুষের জমি দখল করছিলেন পেমারা। ঘটনার পর পদত্যাগ করেন রিনপোচে গুরু টুলকু। সরেন জেলাশাসক, এসপি। পরে জাতীয় গ্রিন ট্রিবিউনালও তাওয়াংয়ের একটি প্রকল্প বাতিল করে।
তাওয়াংচু নদীর উপরে আরও সাতটি ২০০ মেগাওয়াটেক বাঁধ গড়া প্রসঙ্গে জেলাশাসক সাং ফুন্টসক গণশুনানি ডাকেন। হাজির ছিলেন ‘সেভ মন ফাউন্ডেশন’-এর সদস্যরা, পঞ্চায়েত প্রতিনিধি, তাওয়াংয়ের বিধায়ক সেরিং তাসি, লুমলার বিধায়ক জাম্বে তাসি। সেখানেই শতাধিক লামা, সংরক্ষণকর্মী, সাধারণ নাগরিক জানিয়ে দেন— তাঁরা তাওয়াংয়ের পরিবেশ নষ্ট করে বাঁধ তৈরিতে মত দেবেন না। জনমতের বিপক্ষে গিয়ে বাঁধ গড়লে পরিস্থিতি অশান্ত হবে। বিধায়ক সেরিং জানান, জনতার মতামত লিপিবদ্ধ করে রাজ্য সরকারকে জানানোর জন্য রিনপোচের নেতৃত্বে কমিটি গড়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy