Advertisement
E-Paper

সংসদে নতুন ইনিংস শুরু মিঠুন-দেবের

রুপোলি পর্দা তাঁকে দেখেছে ‘এমএলএ’ হিসাবে। আর আজ বাস্তবের জীবনে ‘সাংসদ’ হিসাবে শপথ নিলেন তিনি। তিনি, মিঠুন চক্রবর্তী জানাচ্ছেন, “অল্পবিস্তর নার্ভাস ছিলাম। এখনও সিনেমার প্রথম শট দিতে পা কাঁপে। আজও যেন সেই অনুভূতিটাই হচ্ছিল। তবে শপথের পর হাল্কা লাগছে।”

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৪ ০৩:৪৩

রুপোলি পর্দা তাঁকে দেখেছে ‘এমএলএ’ হিসাবে। আর আজ বাস্তবের জীবনে ‘সাংসদ’ হিসাবে শপথ নিলেন তিনি।

তিনি, মিঠুন চক্রবর্তী জানাচ্ছেন, “অল্পবিস্তর নার্ভাস ছিলাম। এখনও সিনেমার প্রথম শট দিতে পা কাঁপে। আজও যেন সেই অনুভূতিটাই হচ্ছিল। তবে শপথের পর হাল্কা লাগছে।”

লম্বা ঝুলের সাদা কুর্তা ও কালো চোস্ত পাজামা, গলায় মাফলারের মতো জড়ানো উত্তরীয়। শপথের পর সটান সংসদীয় গ্রন্থাগারে। স্বভাবসিদ্ধ ঢঙে বললেন, “আমি হাসতে আর হাসাতে পছন্দ করি। তবে সংসদে একটু গা-ছমছমে ভাব রয়েছে! সবই গুরুগম্ভীর।” সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটে ‘দিদি’র নির্দেশে বিভিন্ন নির্বাচনী ক্ষেত্রে একের পর এক জনসভা করেছেন মিঠুন। বক্তৃতা দিয়েছেন অক্লান্ত ভাবে। বলছেন, “আমি প্রত্যক্ষ রাজনীতির মানুষ নই। তবে রাজ্যসভার সাংসদ হতে পারাটা দুর্দান্ত অনুভূতি। শুটিংয়ের সময় বের করে যতটা পারব এখানে সময় দেওয়ার চেষ্টা করব। কিছুটা সময় লাগবে সব বুঝে নিতে।”

রাজ্যসভায় যখন মিঠুন তখন লোকসভায় আজ শপথ নিয়েছেন তৃণমূলের আর এক সাংসদ, অভিনেতা দেব। শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় গত সপ্তাহে অন্যদের সঙ্গে শপথ নিতে পারেননি। আজ তাই তাঁর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা। দেব বললেন, “নতুন অভিজ্ঞতা। সংসদে যতটা বেশি সময় থাকার চেষ্টা করব। মানুষের কথা বলতেই দল আমায় পাঠিয়েছে।” তবে তৃণমূল সূত্রের খবর, অধিবেশন চলাকালীন সমস্ত সাংসদের দিল্লিতে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক হলেও মিঠুন ও দেবের পেশাগত ব্যস্ততার দিকটি মাথায় রেখে তাঁদের কিছুটা ছাড় দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ রাজ্যসভায় মিঠুন ছাড়াও তৃণমূলের যোগেন চৌধুরী, আহমেদ হাসান, কে ডি সিংহ ও সিপিএমের ঋ

তব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়রা শপথ নেন।

লোকসভায় ডেপুটি স্পিকারের প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন তৃণমূলের রত্না দে নাগ। আগামিকাল রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা নিয়ে দু’কক্ষে বিতর্ক শুরু হতে চলেছে। তৃণমূলের হয়ে লোকসভায় সুগত বসু, কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যসভায় ডেরেক ও’ব্রায়েন ও সুখেন্দুশেখর রায় দলের অবস্থান তুলে ধরবেন। তার আগে আজ রাষ্ট্রপতির বক্তব্য নিয়ে ডেরেক বলেন, “কাল বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে বক্তব্য রেখেছিলেন তারই প্রতিফলন দেখা গিয়েছে রাষ্ট্রপতির বয়ানে। যা রাষ্ট্রপতির জন্য অমর্যাদাকর।”

আগামিকাল বিতর্ক শুরু। তার ঠিক আগের এ দিন সন্ধ্যায় প্রণববাবুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকারে যান তৃণমূলের সাংসদেরা। বৈঠক শেষে ডেরেক বলেন, “প্রথমে নতুন সব সাংসদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির আলাপ করে দেওয়া হয়। তার পর বাঙালি আড্ডা হয়েছে। প্রণববাবু সকলকে মন দিয়ে কাজ করতে বলেছেন। অধিবেশন চলাকালীন ঝামেলা না করারও পরামর্শ দিয়েছেন।” ওই ‘আড্ডায়’ ছিলেন সদ্য শপথ নেওয়া যোগেনও। যিনি রাষ্ট্রপতি ভবনে কিউরেটর হিসাবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন।

দু’কক্ষ মিলিয়ে সংসদে এখন তৃণমূলের সাংসদ ৪৬। রাজ্য থেকে কোনও দলের এত জন সাংসদ এই প্রথম। আজ তৃণমূল সূত্রে দাবি, বৈঠকে সমস্ত সাংসদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজন করারও ইচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

mithun deb loksabha tmc
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy