Advertisement
E-Paper

বরখাস্তের সুপারিশ ২০ আপ বিধায়ককে

৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় সর্বোচ্চ ৭ জন মন্ত্রী হতে পারেন। অভিযোগ, মন্ত্রিত্ব পাননি এমন ২১ জন বিধায়ককে বিভিন্ন দফতরের পরিষদীয় সচিবের পদে এনে বাংলো, গাড়ি ও অন্যান্য সরকারি সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিল কেজরীবাল সরকার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৪৭
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

বিপদে আম আদমি পার্টি। লাভজনক পদ বিতর্কে বরখাস্ত হওয়ার মুখে অরবিন্দ কেজরীবালের দলের ২০ বিধায়ক।

নির্বাচন কমিশনের পাঠানো এই সংক্রান্ত সুপারিশে রাষ্ট্রপতি সবুজ সঙ্কেত দিলে কার্যত ‘মিনি বিধানসভা নির্বাচন’ হতে পারে দিল্লিতে। ফলাফল যা-ই হোক, সরকার পড়বে না। কিন্তু নৈতিকতার কারণ তুলে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে এখনই কেজরীবালের ইস্তফা দাবি করেছে কংগ্রেস ও বিজেপি। আপ নেতৃত্বও কমিশনের সুপারিশের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে গিয়েছেন।

৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় সর্বোচ্চ ৭ জন মন্ত্রী হতে পারেন। অভিযোগ, মন্ত্রিত্ব পাননি এমন ২১ জন বিধায়ককে বিভিন্ন দফতরের পরিষদীয় সচিবের পদে এনে বাংলো, গাড়ি ও অন্যান্য সরকারি সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিল কেজরীবাল সরকার। যদিও আপের দাবি, পরিষদীয় সচিব থাকাকালীন এঁরা বেতন বা অন্য কোনও সরকারি সুবিধা নেননি।

পরিষদীয় সচিব পদটিকে ‘লাভজনক পদ’-এর বাইরে রেখে একটি বিল ২০১৬ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে পাঠিয়েছিল দিল্লি সরকার। রাষ্ট্রপতির কাছে আপত্তি জানান আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। তখন বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে খতিয়ে দেখতে বলেন প্রণববাবু। তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে ২১ জন বিধায়ককে শো-কজ নোটিস পাঠায় কমিশন। তবে রাজৌরি গার্ডেনের আপ বিধায়ক জার্নেল সিংহ ইস্তফা দেওয়ায় ছাড় পান।

আজ কমিশন রাষ্ট্রপতিকে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেয়। সূত্রের খবর, তাতে ওই বিধায়কদের বরখাস্তের সুপারিশ করা হয়েছে। রিপোর্ট চ্যালেঞ্জ করে আপ বলেছে, ২০১৬-র সেপ্টেম্বরে দিল্লি হাইকোর্ট পরিষদীয় সচিব হিসেবে বিধায়কদের নিয়োগ বাতিল করে দিয়েছিল। পদগুলিই বাতিল হয়ে যাওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ধোপে টেঁকে না। কিন্তু কমিশনের যুক্তি ছিল, ২০১৫-র মার্চ থেকে ২০১৬-র সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই বিধায়কেরা পরিষদীয় সচিব ছিলেন। অতএব তাঁদের নাম বিতর্কে জড়িয়ে গিয়েছে। আজ দিল্লি হাইকোর্ট কমিশনের জানতে চেয়েছেন, তারা আদৌ এমন সুপারিশ করেছে কি না। আগামী ২২ তারিখে পরবর্তী শুনানি।

আপের দাবি, অভিযুক্তদের বক্তব্য রাখার কোনও সুযোগই দেয়নি কমিশন। কেজরীবালের পাশে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইট, ‘একটি সাংবিধানিক সংস্থাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যায় না। ২০ জন আপ বিধায়ককে নিজেদের বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হয়নি। তা স্বাভাবিক ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।’ আপ বিধায়ক সৌরভ ভরদ্বাজ বলেন, ‘‘মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এ কে জ্যোতি ছিলেন গুজরাত ক্যাডারের অফিসার। আগামী সোমবার অবসর নিচ্ছেন তিনি। তার আগে মোদীর প্রতি নিজের ঋণ চুকিয়ে গেলেন।’’

AAP Arvind Kejriwal MLA অরবিন্দ কেজরীবাল বিধায়ক আপ
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy