Advertisement
E-Paper

থ্রি ইডিয়টস্-এর কায়দায় অস্ত্রোপচারের চেষ্টা তিন নার্সের, মৃত্যু সদ্যোজাতর

ফোনে রেশমীকান্তর নির্দেশ শুনে শুনে অস্ত্রোপচার করে প্রসব করানোর চেষ্টা করছিলেন তিন জন নার্স। কিন্তু অদক্ষ হাতে অস্ত্রোপচারের ফলে বাঁচানো যায়নি সদ্যোজাতকে। প্রসূতির জরায়ুও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৭ ১০:১১
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

২০০৯ সালে টেবিলটেনিস টেবিলের উপর ভ্যাকিউম ক্লিনারের মাধ্যমে শিশুর ভূমিষ্ঠ হওয়া দেখেছিল গোটা দেশের অসংখ্য দর্শক। তবে রিয়েল লাইফে নয়, রিল লাইফে। ‘থ্রি ইডিয়টস্’ এই অসাধ্য সাধন করতে দেখা গিয়েছিল র‌্যাঞ্চো ওরফে আমির খান এবং তাঁর সঙ্গীদের। কিন্তু বাস্তবে এমনটা করতে গিয়ে বড়সড় বিপত্তি বাধালেন তিন নার্স। ছবিতে চিকিৎসকের নির্দেশ মেনে সফলভাবেই সন্তান প্রসব করাতে পেরেছিলেন র‌্যাঞ্চো ও তাঁর সঙ্গীরা। কিন্তু পারলেন না এই তিন নার্স। ফলে মৃত্যু হল শিশুটির। অবস্থা সঙ্কটজনক হল প্রসূতিরও।

মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার কেন্দাপাড়া জেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। জানা গিয়েছে স্থানীয় চিকিত্সক রেশমীকান্ত পাত্রর নির্দেশে ওই বেসরকারি হাসপাতালে সন্তান প্রসবের জন্য ভর্তি হয়েছিলেন আরতি সামাল। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই আরতির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এই সময় হাসপাতালে ছিলেন না আরতির দায়িত্বে থাকা চিকিত্সক রেশমীকান্ত পাত্র। আরতির অবস্থা দেখে ওই চিকিত্সককে ফোন করেন তাঁর স্বামী কালপাত্রু সামাল। কালপাত্রু নিজের অভিযোগে জানিয়েছেন, “আমি রেশমীকান্তর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি আমার স্ত্রীকে এই হাসপাতালে ভর্তি করতে বলেন। তিনি জানান, তিনি না থাকলেও নার্সদের সঙ্গে কথা বলে আমার স্ত্রী চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা করে দেবেন।”

আরও পড়ুন:
‘বাহুবলী ব্রেন সার্জারি’ কী জানেন?

নামের মিলেই ভুল নোটিস প্রাক্তন জেসিওকে

বাস্তবেও ফোনে রেশমীকান্তর নির্দেশ শুনে শুনে অস্ত্রোপচার করে প্রসব করানোর চেষ্টা করছিলেন তিন জন নার্স। কিন্তু অদক্ষ হাতে অস্ত্রোপচারের ফলে বাঁচানো যায়নি সদ্যোজাতকে। প্রসূতির জরায়ুও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

কালপাত্রুর অভিযোগ, “আমার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার পরও হাসপাতালে আসেননি রেশমীকান্ত পাত্র। ফলে আমাদের প্রথম সন্তান মারা গিয়েছে। আরতির অবস্থাও সঙ্কটজনক।”

ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসক রেশমীকান্ত পাত্রর বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন প্রসূতির পরিবার। কেন্দাপাড়া থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার বিজয় কুমার দিসি জানান, গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে গোটা ঘটনার রিপোর্ট চাওয়া হবে। তদন্তের স্বার্থে চিকিত্সকদের একটি দলও তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Odisha Medical Negligence Newborn dies Kendrapada FIR
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy