Advertisement
E-Paper

৬৮ শতাংশ অস্ত্রই ‘পুরনো’, উদ্বেগ বাড়ালেন সেনাকর্তা

প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ভবিষ্যতে একই সঙ্গে দুই আলাদা যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াইয়ের কথা ভেবে সেনাবাহিলীকে তৈরি রাখতে হবে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৮ ১১:৪৩
ফাইল চিত্র

ফাইল চিত্র

একা চিনে রক্ষা নেই। দোসর পাকিস্তান। প্রতিবেশী দুই দেশের সেনাবাহিনী যখন সীমান্তে বিপদের কারণ হয়ে উঠেছে, সে সময় ভারতীয় সেনাবাহিনীর আসহায় অবস্থার ছবিটা স্পষ্ট হয়ে গেল। রাখ-ঢাক না করে সেনা উপপ্রধান লেফট্যানেন্ট জেনারেন শরথ চন্দ জানিয়ে দিলেন, ‘‘ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে থাকা অস্ত্রের মধ্যে ৬৮ শতাংশই পুরনো।’’ যাকে বলে ‘ভিন্টেজ’ শ্রেণির।

সেনাপধান বিপিন রাওয়তের গলাতেও সেই একই সুর। তিনি বলেছেন, ‘‘অর্থনীতিতে এক নম্বর হওয়ার পাশাপাশি সেনাশক্তিতেও যে এগিয়ে যাওয়া দরকার, তা চিন বুঝতে পেরেছে।’’ রাওয়ত যেটা বলেননি, সেটাই কিন্তু সেনা উপপ্রধান শরথ চন্দের কথা থেকে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্রয়োজনীয় বরাদ্দের অভাবে যে ভারতীয় সেনাবাহিনী পিছিয়ে পড়ছে তা জানিয়ে তিনি বলেছেন, চলতি আর্থিক বছরে কেন্দ্রের কাছ থেকে সেনাবাহিনী চেয়েছিল ৩৭ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাজেটে দেওয়া হয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা।

গত বছর ডোকালাম নিয়ে বিবাদ এমন পর্যায়ে পোঁছয় যে, চিন-ভারতের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কাতৈরি হয়েছিল। ঠিক সেই সময়েই সীমান্তে গুলিবর্ষণ শুরু করে পাকিস্তান। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ভবিষ্যতে একই সঙ্গে দুই আলাদা যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াইয়ের কথা ভেবে সেনাবাহিলীকে তৈরি রাখতে হবে। কিন্তু সেই প্রস্তুতি যে টাকার অভাবে থমকে যাচ্ছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

আরও পড়ুন: সীমান্ত টপকে রোহিঙ্গার ঢল

চিনের সেনাবাহিনী যখন অত্যাধুনিক অস্ত্রে সেজে উঠছে, সেই সময় ভারতীয় সেনাবাহিনীর খোল-নলচে বদলানোর প্রক্রিয়া যে শিকেয় উঠেছে, তা শরথ চন্দজানিয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে তিনি বলেছেন, “প্রায় সমস্ত দেশের সেনাবাহিনীতেই পুরনো যুদ্ধাস্ত্র থাকে। কিন্তু কখনই তা মোট যুদ্ধাস্ত্রের এক তৃতীয়াংশের বেশি হয় না। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে তা ৬৮ শতাংশ।”

দেশের সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করার জন্য মেক ইন ইন্ডিয়ার স্লোগান তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বলা হয়েছিল বিদেশ থেকে অস্ত্র কেনার বদলে, দেশেই অস্ত্র কেনা হবে। কিন্তু টাকার অভাবে যে গোটা প্রক্রিয়ী ধাক্কা খাচ্ছে, তা খোলাখুলি জানিয়ে দিলেন সেনা উপপ্রধান শরথ চন্দ। সেনাবাহিনীর দাবি, পরিস্থিতি বুঝে দ্রুত অর্থ মঞ্জুর করা হোক। নইলে কিন্তু অনেক দেরি হয়ে যাবে।

Indian Army weapon Sarath Chand Bipin Rawat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy