Advertisement
E-Paper

‘উচ্চবর্ণে’ বিয়ে করায় স্ত্রী-র সামনেই শ্বশুরের হাতে খুন জামাই!

‘উচ্চবর্ণে’র মেয়েকে বিয়ে করার ‘অপরাধে’ এক যুবককে তাঁর স্ত্রীর সামনেই খুন করে পুড়িয়ে দিল তাঁরই শ্বশুর। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদে। মৃত ওই যুবকের নাম অম্বজি নরেশ (২৩)।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৭ ১৬:৩৭
অম্বজি নরেশ। ছবি: সংগৃহীত

অম্বজি নরেশ। ছবি: সংগৃহীত

‘উচ্চবর্ণে’র মেয়েকে বিয়ে করার ‘অপরাধে’ এক যুবককে তাঁর স্ত্রীর সামনেই খুন করে পুড়িয়ে দিল তাঁরই শ্বশুর। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদে। মৃত ওই যুবকের নাম অম্বজি নরেশ (২৩)।

পুলিশ সূত্রে খবর, ভিঙ্গিরের তরুণী তুমল্লা স্বাতীর সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল নরেশের। কিন্তু নরেশ নিন্মবর্ণের হওয়ায় স্বাতীর পরিবার এই সম্পর্কটা কোনও ভাবেই মানতে চাইছিল না। অবশেষে মাস দুয়েক আগে বাড়ির অমতেই নরেশকে বিয়ে করেন স্বাতী। বিয়ের পর দু’জনে মুম্বই চলে যান। মেয়ে এত বড় কাণ্ড ঘটালো, সেটা মেনে নিতে পারেননি স্বাতীর বাবা শ্রীনিবাস রেড্ডি। তখনকার মতো বিষয়টা সামলে নিয়ে মেয়েকে বাড়িতে ফিরে আসতে বলেন তিনি। কোনও ঝামেলা না হওয়ার আশ্বাসও দেন শ্রীনিবাস। বাবার কথায় আশ্বস্ত হয়ে নরেশকে নিয়ে হায়দরাবাদের ভঙ্গিরে পৌঁছন স্বাতী। সেখানে তাঁদের নিতে আসেন স্বাতীর বাবা, কাকা এবং ভাই। অভিযোগ, স্বাতীকে সেখান থেকে বাড়িতে নিয়ে গেলেও নরেশকে সঙ্গে নিয়ে যাননি তাঁরা। সে দিন থেকেই আর খোঁজ মেলেনি নরেশের। তাঁর সঙ্গে বার বার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি বলে পরিবারের দাবি। নরেশের পরিবার পরে থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। শুরু হয় তদন্ত।

এ দিকে, নরেশ নিখোঁজ হওয়ার কিছু দিন পরেই ভঙ্গিরেরই একটি ঝোপ থেকে অর্ধদগ্ধ এক যুবকের দেহ মেলে। নরেশের পরিবারকে ডেকে পাঠায় পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁরা নরেশের দেহ সনাক্ত করেন। স্বাতীর পরিবারের বিরুদ্ধে খুন করার অভিযোগ আনে নরেশের পরিবার। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শ্রীনিবাস রেড্ডি ও তাঁর ছেলেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের জেরা করে উঠে আসে ভয়ঙ্কর সত্য। জেরায় অভিযুক্তেরা নরেশকে খুনের কথা স্বীকার করেন।

আরও পড়ুন: শার্ট খুলে অজিত ছুড়ে দিল মনুয়াকে

ঠিক কী হয়েছিল?

অভিযুক্তেরা জানান, ওই দিন নরেশকে কাছেরই একটি জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে প্রথমে খুন করেন। তার পর তাঁর দেহ লোপাট করতে তাঁর দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। আর সবচেয়ে ভয়ানক যে বিষয়টি তা হল, গোটা ঘটনাটাই ঘটানো হয়েছে স্বাতীর চোখের সামনেই! রাচাকোন্ডার পুলিশ কমিশনার মহেশ ভগবত জানান, এই দৃশ্য দেখার পর মানসিকভাবে পুরোপুরি ভেঙে পড়েন স্বাতী। বিষয়টি নিয়ে যাতে মুখ না খোলেন, সে জন্য প্রতি দিন শাসানো হত স্বাতীকে। এই ভাবেই চলছিল কয়েক দিন। তাঁর চোখের সামনে স্বামীকে খুন হতে হল, আর সেই হত্যাকারী তাঁর বাবা-কাকা-ভাই! এটা কোনও ভাবে মেনে নিতে পারেননি স্বাতী। মানসিক অবসাদে এবং স্বামী হত্যার শোক সহ্য করতে না পেরে স্বাতীর শেষ পরিণতিও করুণ হয়। গত ১৫ মে আত্যহত্যা করেন তিনি!

murder Domestic violence Hyderabad
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy