Advertisement
E-Paper

যাত্রীর চাপ, নতুন টার্মিনাল পটনায়

এই অবস্থায় পটনায় নতুন টার্মিনাল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দর-কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, ২০১৮ সালের এপ্রিলে ৮০০ কোটি টাকা খরচে নতুন টার্মিনাল তৈরির কাজ শুরু হবে।

সুনন্দ ঘোষ

শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:৪৯
নতুন: পটনা বিমানবন্দর। —নিজস্ব চিত্র।

নতুন: পটনা বিমানবন্দর। —নিজস্ব চিত্র।

পটনা থেকে উড়ান চালাতে চেয়েছিল বিস্তারা। অনুমতি না-পেয়ে তারা বেছে নিয়েছে রাঁচীকে। এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো, স্পাইস, জেট-ও উড়ান বাড়াতে চায় পটনা থেকে। কিন্তু সকলকেই ঝুলিয়ে রাখতে হচ্ছে।

কেন? পটনার জয়প্রকাশ নারায়ণ বিমানবন্দরের যে হাঁসফাঁস অবস্থা! দিনে ৩৬টি উড়ান উঠছে, ৩৬টি উড়ান নামছে। আর জায়গা নেই। বছরে মাত্র সাত লক্ষ যাত্রী ধারণক্ষমতার যে-টার্মিনাল রয়েছে, সেখানে গত আর্থিক বছরে ২১ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেছেন। সংখ্যাটি আগামী মার্চের মধ্যে ৩০ লক্ষ ছোঁবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। কারণ, সারা দেশে বছরে যাত্রী বৃদ্ধির গড় হার ১৭ শতাংশ হলেও গত আর্থিক বছরে পটনায় বেড়েছে ৩৩ শতাংশ যাত্রী!

এই অবস্থায় পটনায় নতুন টার্মিনাল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দর-কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, ২০১৮ সালের এপ্রিলে ৮০০ কোটি টাকা খরচে নতুন টার্মিনাল তৈরির কাজ শুরু হবে। বছরে ৪৫ লক্ষ যাত্রী ধারণক্ষমতার টার্মিনাল শেষ হতে তিন বছর লাগবে।

পটনা বিমানবন্দরের অধিকর্তা আর এস লাহোরিয়া বলেন, ‘‘বুঝতেই পারছেন, আগামী তিন বছর পরিস্থিতি কী ভয়ঙ্কর হবে! যেটুকু পরিকাঠামো রয়েছে, তা-ই দিয়ে চালাতে হবে আমাদের।’’ তিনি জানান, এখন রাত সাড়ে ৯টার পরে বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে যায়। পটনা থেকে রাতে বিমান ওঠানামা করে না। ফলে দিনের বেলাতেই যত বিমানের চাপ। বিমান মন্ত্রক ঠিক করেছে, মার্চ থেকে ২৪ ঘণ্টার জন্য বিমানবন্দর খুলে দেওয়া হবে। নতুন কেউ উড়ান চালাতে চাইলে চালাতে হবে রাতেই। এখন অ্যারাইভাল ও ডিপারচার— দু’টি এলাকাতেই ২০০ জন যাত্রী ধরে। নিরাপত্তাবেষ্টনীর মধ্যে বড়জোর ৪৫০ জন। এখন গড়ে প্রতিটি বিমানে ১৫০ জন যাত্রী হয়। পরপর তিনটি উড়ান থাকলে ডিপারচার এলাকায় ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যাচ্ছে। পরপর তিনটি বিমান নামলে ভিড় থিকথিক করে অ্যারাইভাল হল-এ।

সম্প্রতি টার্মিনালের বাইরে ৩০০ জনের বসার জায়গা করা হয়েছে। লাহোরিয়া বলেন, ‘‘বিমান ছাড়ার দু’ঘণ্টা আগে যাত্রীদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। তার আগে কেউ ঢুকতে চাইলে বাইরে অপেক্ষা করতে বলা হচ্ছে।’’ আপাতত কাজ চালানোর জন্য বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা বেষ্টনীয় চারটি গেট। বসানো হয়েছে একটি অতিরিক্ত এক্স-রে মেশিন। নিরাপত্তা বেষ্টনীর অতিরিক্ত জায়গা তৈরি হচ্ছে টার্মিনালের দোতলায়।

অধিকর্তার কথায়, সমস্যা রয়েছে পার্কিং বে নিয়েও। এখন পার্কিং বে মাত্র চারটি। অর্থাৎ চারটি বিমান নামলে পঞ্চম বিমানকে নামার অনুমতি দেওয়া যাবে না। সেই জন্য ১২ ডিসেম্বর থেকে নতুন আরও দু’টি পার্কিং বে তৈরির কাজ শুরু হচ্ছে। তার জন্য রাজ্য সরকার ১১.৩৫ একর জমিও দিয়েছে। সেই কাজ শেষ হবে সামনের বছর সেপ্টেম্বরে।

Airport Patna
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy