Advertisement
E-Paper

নিশানা পাক সন্ত্রাস, বৈঠক মোদী-ঘানির

হামিদ কারজাই চলে যাওয়ার পরে কাবুল প্রশ্নে যথেষ্ট আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল ভারতের। কারণ, স্পষ্টতই কুর্শিতে বসার পর প্রাথমিক ভাবে ঘানির আনুগত্য ছিল ইসলামাবাদের প্রতি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৭ ০২:২৬
সাক্ষাৎ: আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।

সাক্ষাৎ: আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।

আফ-পাক সীমান্তের তালিবান জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মঞ্চ তৈরি করতে সাজো সাজো রব সাউথ ব্লকে। আজ এক দিনের দিল্লি সফর সারলেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। রাতে এলেন মার্কিন বিদেশসচিব রেক্স টিলারসন। আগামিকাল ভারতীয় কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করবেন তিনি। তাঁর সফর তিন দিনের। সব মিলিয়ে আমেরিকা ও আফগানিস্তানকে পাশে নিয়ে পাকিস্তানকে যতটা সম্ভব কোণঠাসা করার চেষ্টা আপাতত অগ্রাধিকার পাচ্ছে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিদেশনীতিতে। সূত্রের দাবি, আজ ঘানির সঙ্গে বৈঠকে জঙ্গি ও তালিবান দমনে ভারতের সামরিক সহায়তা বহু গুণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে কী ধরনের সহায়তা, এখনই তা প্রকাশ্যে আনছে না কোনও পক্ষ।

হামিদ কারজাই চলে যাওয়ার পরে কাবুল প্রশ্নে যথেষ্ট আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল ভারতের। কারণ, স্পষ্টতই কুর্শিতে বসার পর প্রাথমিক ভাবে ঘানির আনুগত্য ছিল ইসলামাবাদের প্রতি। কিন্তু সময়ের সঙ্গে পরিস্থিতির এতটাই বদল হয় যে, গত বছর উরি হামলার প্রতিবাদে প্রকাশ্যেই ঘানির সমর্থন পেয়েছে মোদী সরকার। গত তিন বছরে ঘানির তিন বার ভারত সফরই প্রমাণ করে দিয়েছে, আফগান সরকারের কৌশলগত অভিমুখ। এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন মঞ্চে দু’দেশের নেতার মধ্যে আলোচনা হয়েছে মোট ১৩বার।

আরও পড়ুন: এসআই মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত হোক, দাবি গুরুঙ্গের

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্টের বৈঠকের পরে বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে আজ বিস্তারিত বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। আমেরিকার কাছ থেকে সহায়তার আশ্বাস পাওয়ার পরে শুধু ভারতই নয়, পশ্চিম এশিয়ার রাজনীতিতে শক্তিশালী অক্ষ গড়তে পূর্ণ উদ্যমে ঝাঁপিয়েছে কাবুলও। গত মাসের ১১ তারিখ দু’দেশের ‘স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ কাউন্সিল’-এর বৈঠকে পরস্পরের উন্নয়নে আরও ঘনিষ্ঠ অংশীদার হওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। দু’দেশের মধ্যে গত ১৬ বছরে যা দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা হয়েছে, তার ভিতে দাঁড়িয়ে এবং নতুন আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা ভাবছে দিল্লি-কাবুল।

বিদেশ মন্ত্রকের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আফগানিস্তানের মানুষ যে ভাবে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করছেন, বৈঠকে তার ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। সে দেশের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ভারত যে সহায়তা করছে, তার পর্যালোচনা করা হয়েছে। হাজার হাজার আফগান সেনার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সে দেশের সেনা ও পুলিশবাহিনীকে আরও সাহায্য করতে রাজি হয়েছে ভারত।’

ঘানি-মোদী বৈঠকে অবশ্যই উঠে এসেছে হাক্কানি নেটওয়ার্ক এবং পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় মদত পাওয়া সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ। সরাসরি পাকিস্তানের নাম না করেও তির ছোড়া হয়েছে ইসলামাবাদের দিকে। বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস এবং জঙ্গিদের স্বর্গোদ্যান নির্মূল করার বিষয়টি। কারণ, হিংসা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত কখনওই কোনও অর্থবহ আলোচনা এগোতে পারে না, অথবা দীর্ঘমেয়াদি শান্তি আসতে পারে না।’

Ashraf Ghani Narendra Modi আশরাফ ঘানি নরেন্দ্র মোদী
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy