ল্যান্স নায়েক যজ্ঞপ্রতাপ সিংহ। ছবি ইউটিউবের সৌজন্যে।
সরকারের আশঙ্কাকে সত্য প্রমাণ করে কার্যত ভিডিও-লড়াই শুরু হল সেনাবাহিনীতে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সেনা, বিএসএফ, সিআরপিএফ, জওয়ানদের ভিডিও-নালিশের জেরে নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। বাহিনীর অবস্থার উন্নতিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। কাল জওয়ানদের সোশ্যাল মিডিয়ার বদলে ‘কমপ্লেন বক্সে’-র মাধ্যমে সরাসরি তাঁকে অভিযোগ জানাতে বলেছিলেন সেনাপ্রধান।
কিন্তু তার পরেও আজ ভিডিও পোস্ট করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের বাতালিক সেক্টরের ৪০৮ নম্বর ফিল্ড হাসপাতালে মোতায়েন এক জওয়ান। ল্যান্স নায়েক যজ্ঞপ্রকাশ সিংহের সুরে তাঁরও অভিযোগ, অফিসারদের স্ত্রী-দের পোযা কুকুর ঘোরানোর মতো নানা কাজ করতে হয় জওয়ানদের। ঘাঁটিতে থাকা জিপসি নিয়ে বিউটি পার্লারে যান অফিসারদের স্ত্রী-রা। কিন্তু জওয়ানদের দ্রুত বাড়ি ফেরার প্রয়োজন হলে গাড়ি দেওয়া হয় না।
আবার পাল্টা ভিডিও পোস্ট করেছেন এক কর্মরত ও এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসার। তাঁদের দাবি, সেনার ‘চেন অব কম্যান্ড’ না মেনে ভিডিও পোস্ট করে জওয়ানরা বাহিনীর শৃঙ্খলা ভাঙছেন। সেনা হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকে কাজ করে না। এতে ভুল ধারণা তৈরি হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ার যাঁরা অপব্যবহার করছেন তাঁদের শাস্তি দেওয়া উচিত।
কাল সেনাপ্রধানের সাংবাদিক বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, সেনা-সহ বিভিন্ন বাহিনীতে স্মার্টফোন নিষিদ্ধ হয়েছে। বাহিনীর ডিজি-র সম্মতি ছাড়়া জওয়ানরা আর অভিযোগ জানিয়ে ভিডিও পোস্ট করতে পারবেন না। ভিডিও-নালিশের পরে ল্যান্স নায়েক যজ্ঞপ্রতাপ সিংহের স্মার্টফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে তাঁর পরিবার। তাদের আরও দাবি, যজ্ঞপ্রকাশ অনশনে বসেছেন। কিন্তু আজ সেনাপ্রধান জানান, ‘‘স্মার্টফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়নি।’’ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের দাবি, ভিডিও পোস্ট নিয়ে আগেই কড়া বিধিনিষেধ আছে। সেগুলি কার্যকর করার ক্ষেত্রে উদ্যোগী হতে বাহিনীর কর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy