Advertisement
E-Paper

১৪ সাধু ‘জাল’, তালিকা আখড়ার

পরিষদের প্রধান নরেন্দ্র গিরি স্পষ্ট জানান, সামাজিক বহিষ্কার করতে হবে এই ১৪ জনকে। এখন থেকে কাউকে ‘সাধু’ ঘোষণার জন্য একটি প্রক্রিয়া তৈরি করা হবে, যাতে ভবিষ্যতে গুরমিতের মতো কেউ নিজেকে ‘ভগবান’ ঘোষণা করতে না পারে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:৪৬

কারও সামনে দাঁড়িয়ে হাতজোড় করেছেন নরেন্দ্র মোদী। কাউকে প্রণাম জানিয়েছেন দূর থেকে। এমন ‘সাধু’দেরই কয়েক জনকে আজ ‘জাল’ ঘোষণা করল সাধুদের আখড়া পরিষদ। যে ঘোষণার নেপথ্যে সঙ্ঘ পরিবারেরই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের হাত দেখছেন অনেকে।

আখড়ার ঘোষণা অনুযায়ী, এমন ‘জাল-সাধু’র সংখ্যা আপাতত ১৪। সেই তালিকায় ‘রকস্টার বাবা’ গুরমিত রাম রহিম সিংহ যেমন আছে, তেমনই আছে ধর্ষণের দায়ে আগেই জেলে যাওয়া আসারাম বাপু, তার ছেলে নারায়ণ সাই। আর আছেন রাধে মা, নির্মল বাবা, ওম বাবা, ওম নমঃ শিবায় বাবা, রামপাল, ইচ্ছাধারী ভীমানন্দ, স্বামী অসীমানন্দ, সচ্চিদানন্দ গিরি, আচার্য কুশমুনি, বৃহস্পতি গিরি এবং মালখান সিংহ।

আরও পড়ুন: ধর্মগুরুর ‘ড্রাইভার’ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি, নিন্দায় বার অ্যাসোসিয়েশন

১৪টি আখড়া নিয়ে তৈরি ‘অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদ’। অযোধ্যায় রাম জন্মভূমি আন্দোলনের পুরোধা নির্মোহী আখড়াও এতে সামিল। এ যাবৎ এই পরিষদকে তোয়াক্কা না করেই একে একে বেড়ে উঠেছে স্বঘোষিত বাবাদের পসার। নেতারাও সরকারি রাজকোষ থেকেই তাঁদের ঢেলে অনুদান দিয়েছেন। কিন্তু ধর্ষণ মামলায় গুরমিতের জেলে যাওয়া ও তার ভক্তদের হিংসায় মৃত্যুমিছিল তুমুল শোরগোল ফেলে দেশজুড়ে। বিতর্কিত ‘বাবা’দের থেকে দূরত্ব বাড়াতে সক্রিয় হয় বিজেপি। বিতর্ক শুরু হয় সঙ্ঘ শিবিরেও।

এই পরিস্থিতিতে আজ ‘অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদ’ বৈঠকে বসে ইলাহাবাদে। তৈরি করে ‘জাল-সাধু’দের তালিকা। পরিষদের প্রধান নরেন্দ্র গিরি স্পষ্ট জানান, সামাজিক বহিষ্কার করতে হবে এই ১৪ জনকে। এখন থেকে কাউকে ‘সাধু’ ঘোষণার জন্য একটি প্রক্রিয়া তৈরি করা হবে, যাতে ভবিষ্যতে গুরমিতের মতো কেউ নিজেকে ‘ভগবান’ ঘোষণা করতে না পারে।

এই তালিকা পাঠানো হচ্ছে কেন্দ্র ও সব রাজ্যের সরকারের কাছে। চার পীঠের শঙ্করাচার্যের কাছেও পাঠানো হচ্ছে নামগুলি। কুম্ভ, অর্ধকুম্ভ ও কোনও ধার্মিক সমাবেশেও যাতে এই স্বঘোষিত ধর্মগুরুরা ঢুকতে না পারেন, তারও ব্যবস্থা হবে।

গোটা কাণ্ডের আড়ালে রয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈনের মতে, ‘‘মুষ্টিমেয় কয়েক জনের জন্য ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে সমগ্র সাধুকুলের। ভবিষ্যতে সেটি যাতে না হয়, তার জন্য সাধু উপাধি দেওয়ার আগে আখড়া পরিষদ সেই ব্যক্তির জীবনযাত্রা খতিয়ে দেখবে।’’ পরিষদের বক্তব্য, সাধুর নামে সম্পত্তি বা নগদ থাকা চলবে না। বিশ্বাসযোগ্যতা খতিয়ে দেখে তবে ‘সাধু’ উপাধি দেওয়া হবে।

Akhil Bharatiya Akhara Parishad Fake Baba List সাধু আখড়া
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy