Advertisement
০৪ মে ২০২৪
National News

প্রজাপতির জোর ধাক্কা রানিমা ও গাঁধী পরিবারকে, ফের ময়দানে প্রিয়ঙ্কা

আবার সামনে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। প্রায় সাত দশকের পারিবারিক গড়ের সম্মানরক্ষায় ফের আসরে নামলেন রাজীব-তনয়া। রাহুল গাঁধীর নিজস্ব নির্বাচনী ক্ষেত্রের অন্তর্গত অমেঠি বিধানসভা কেন্দ্রটিও কংগ্রেসকে ছাড়েনি সপা। তা নিয়ে জটিলতা ক্রমশ বাড়ছে জোট শিবিরে।

সনিয়া বা রাহুল নন, সঙ্কটমোচনে আবার সামনে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। —ফাইল চিত্র।

সনিয়া বা রাহুল নন, সঙ্কটমোচনে আবার সামনে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০১৭ ১৫:২২
Share: Save:

আবার সামনে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। প্রায় সাত দশকের পারিবারিক গড়ের সম্মানরক্ষায় ফের আসরে নামলেন রাজীব-তনয়া। রাহুল গাঁধীর নিজস্ব নির্বাচনী ক্ষেত্রের অন্তর্গত অমেঠি বিধানসভা কেন্দ্রটিও কংগ্রেসকে ছাড়েনি সপা। তা নিয়ে জটিলতা ক্রমশ বাড়ছে জোট শিবিরে। সপা খোদ গাঁধী পরিবারের দুর্গে থাবা বসাতে চাইলে তা গোটা কংগ্রেস দলের পক্ষে অসম্মানজনক হবে, গুঞ্জন রাজনৈতিক শিবিরে। জোটের পথ থেকে এই কাঁটা সরানো তাই খুব জরুরি। কিন্তু রাহুল বা সনিয়া নন, কাঁটা সরাতে সামনে আবার প্রিয়ঙ্কা গাঁধীই। টিম অখিলেশের সঙ্গে ফের আলোচনা শুরু হয়েছে টিম প্রিয়ঙ্কার। অমেঠি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে সপাকে প্রার্থী প্রত্যাহারে রাজি করানোর চেষ্টা শুরু হয়েছে।

উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে জোট নিয়ে অখিলেশ যাদবের সঙ্গে প্রথমে কিন্তু কথা শুরু হয়েছিল কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গাঁধীর। মূলত অখিলেশ-রাহুলের প্রচেষ্টাতেই জোটের পথে অনেকটা এগিয়ে যায় সপা-কংগ্রেস। কিন্তু আসন বণ্টন নিয়ে দু’দলের মধ্যে টানাপড়েন তুঙ্গে ওঠে। সনিয়া এবং রাহুলের লোকসভা কেন্দ্র রায়বরেলী-অমেঠির ১০টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৭টিতেই প্রার্থী ঘোষণা করে দেয় সপা। এই ঘটনায় জোট প্রায় ভেস্তে যেতে বসেছিল। রাহুল গাঁধী জোটের আলোচনা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। তবে সনিয়া গাঁধী হাল ছাড়েননি। তাঁর নির্দেশে আসরে নামেন প্রিয়ঙ্কা। টিম অখিলেশ এবং টিম প্রিয়ঙ্কার বৈঠক হয়। আলোচনা ফলপ্রসূ হয়। গাঁধী-গড়ের ১০টি আসনের মধ্যে ৫টি আসন কংগ্রেসকে ছেড়ে দেয় সপা। জোটের চাকা আবার গড়াতে শুরু করে। এ বার অমেঠি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে সপা কাঁটা সরাতেও একই ভাবে কথা শুরু হয়েছে টিম অখিলেশ-টিম প্রিয়ঙ্কার মধ্যে।

রাহুল বা সনিয়া নন, উত্তরপ্রদেশে প্রিয়ঙ্কাকেই সামনে এগিয়ে দিচ্ছে কংগ্রেস। —ফাইল চিত্র।

জোট চূড়ান্ত করার প্রশ্নে প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর এই সাফল্যের পর স্বাভাবিক ভাবেই তাঁকে নিয়ে উচ্ছ্বাস বেড়ে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। প্রিয়ঙ্কা কংগ্রেসের কোনও পদাধিকারী নন। কিন্তু তাঁর প্রচেষ্টায় জোট বেঁচে যাওয়ায় তাঁর রাজনৈতিক গুরুত্ব এক লাফে অনেকটা বেড়েছে। কংগ্রেসও শেষ পর্যন্ত স্বীকার করে নিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রচারাভিযানের নেতৃত্বে প্রিয়ঙ্কা গাঁধীই থাকছেন। তিনি পদাধিকারী না হওয়া সত্ত্বেও কংগ্রেস যে ভাবে প্রকাশ্যে তাঁর উপর নির্ভর করার কথা ঘোষণা করেছে, তাকে যে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী নিজেও মর্যাদা দিচ্ছেন, তা আরও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে অমেঠি আসনটি নিয়ে জটিলতা কাটাতে তিনি ফের আসরে নামায়।

প্রিয়ঙ্কা আসরে নামার পর আগের বারও কংগ্রেসের দাবি মেনে নিয়েছিলেন অখিলেশ। এ বারও কি মেনে নেবেন? —ফাইল চিত্র।

অমেঠি বিধানসভা কেন্দ্রে অখিলেশ যাদব প্রার্থী হিসেবে গায়ত্রী প্রজাপতির নাম ঘোষণা করেছেন। তিনি অখিলেশ মন্ত্রিসভার অত্যন্ত বিতর্কিত সদস্য। কংগ্রেস সেখানে অমেঠি রাজ পরিবারের সদস্যা তথা এলাকার ‘রাজা’ হিসেবে পরিচিত সঞ্জয় সিংহের স্ত্রী অমিতা সিংহকে প্রার্থী করেছে। যদি সপা অমেঠি থেকে প্রার্থী প্রত্যাহার করতে রাজি না হয়, তা হলে সেই আসনে সপা-কংগ্রেসে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হবে, এমনটাই স্থির হয়েছিল প্রথমে। কিন্তু প্রথমত আসনটি রাহুল গাঁধীর নিজস্ব নির্বাচনী ক্ষেত্রের অন্তর্গত, দ্বিতীয়ত রানি অমিতা সিংহ সেখানে কংগ্রেস প্রার্থী। গায়ত্রী প্রজাপতির মতো এক বিতর্কিত মন্ত্রীর জন্য এমন একটি আসন যদি সপা ছাড়তে রাজি না হয়, তা হলে কংগ্রেসের, অমেঠি রাজ পরিবারের এবং গাঁধী পরিবারের সম্মানে এক সঙ্গে ধাক্কা লাগছে বলে কংগ্রেসের একাংশ মনে করছে।

আরও পড়ুন: কী এমন সুন্দরী প্রিয়ঙ্কা! বিনয়ের কটাক্ষে বিতর্ক

প্রিয়ঙ্কা গাঁধী ফের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করায় কংগ্রেস শিবির আশাবাদী। দ্রুত রফাসূত্র বেরবে বলে সপা এবং কংগ্রেস দু’পক্ষই মনে করছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE