ভর দুপুরবেলা। জাতীয় সড়কে যেন ধুলোর ঝড় উঠল। আধো অন্ধকার অবস্থা। আর সেই সঙ্গে প্রবল বন-বনে শব্দ। সার দিয়ে পর পর দাঁড়িয়ে গেল গাড়ি। যানজটে আটকে গেল গোটা এলাকা। আশপাশের বাড়িতে দমাদম বন্ধ হতে থাকল দরজা জানালা।
কিছু ক্ষণ পরে বোঝা গেল, ঝড়টা আসলে ধুলোর নয়। ওরা লক্ষ লক্ষ মৌমাছি। চতুর্দিক বোঁ বোঁ শব্দে লণ্ডভণ্ড। ঝাঁকে ঝাঁকে শুধু উড়ে বেড়াচ্ছে তারা। যাকে পারছে তাকেই কামড়াচ্ছে। খবর পেয়ে পৌঁছয় পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তাদেরও গায়ে বিশেষ জ্যাকেট, মাথায় মুখ-ঢাকা হেলমেট। যাতে মৌমাছি কামড়াতে না পারে। এ ভাবেই কেটে গেল ছয় ছ’টা ঘণ্টা। সন্ধে নামার মুহূর্তে কী ভাবে যেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এল। তত ক্ষণে যদিও মৌমাছির কামড় খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২ জন।
কী ভাবে এল এত মৌমাছি, একসঙ্গে?
লুধিয়ানা থেকে টঙ্ক যাচ্ছিল একটি ট্রাক। তাতে বোঝাই করা ছিল শ’খানেক মৌচাকের বাক্স। তার ভেতরেই ছিল কয়েক লক্ষ মৌমাছি। কিন্তু, চুরু-জয়পুর জাতীয় সড়কে চুরু শহর থেকে ৬ কিলোমিটার আগে এসে কোনও ভাবে উল্টে যা ট্রাকটি। এর পর মৌচাক থেকে উড়ে যায় মৌমাছিরা। ঝাঁক বেঁধে তারা দখল করে নেয় গোটা এলাকা। এত মৌমাছি একসঙ্গে উড়ে ঝড়ের পরিস্থিতি তৈরি করে। আর সেই সঙ্গে শব্দ।
পুলিশ জানিয়েছে, কী ভাবে ট্রাক উল্টে গেল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আহতের সংখ্যা বাড়তেও পারে বলে তাদের আশঙ্কা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy