বিধানসভার বর্ষাকালীন অধিবেশন শুরুর পাঁচ দিন আগে চূড়ান্ত অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখে পড়ল বিহার বিজেপি। ট্রেনে বছর বারোর নাবালিকার শ্লীলতাহানির দায়ে বিধান পরিষদের এক দলীয় সদস্যের গ্রেফতারির জেরে গেরুয়া দলের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হল জেডিইউ। অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধিকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সাসপেন্ড করে আপাতত পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।
ঘটনার সূত্রপাত গত কাল গভীর রাতে। হাওড়া-গোরখপুর পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসে। রেল পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ট্রেনে হাওড়া থেকে গোরখপুর যাচ্ছিল একটি পরিবার। মা-বাবার সঙ্গে ছিল বছর বারোর মেয়েটি। এসি-২ টিয়ার কামরায় আলাদা আলাদা জায়গায় সংরক্ষিত ‘বার্থ’ ছিল তাঁদের। ওই ট্রেনেই দুর্গাপুর থেকে হাজিপুর যাচ্ছিলেন সিওয়ানে বিজেপির বিধান পরিষদ সদস্য টুন্নাজি পাণ্ডে। মুজফ্ফরপুরের রেল পুলিশ সুপার বি এন ঝা জানিয়েছেন, মেয়েটির বাবা-মা লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, রাত ৩টে নাগাদ টুন্না পাণ্ডে তাঁদের মেয়ের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। ঘটনাটি ঘটে হাজিপুরের কাছে সরাই স্টেশনের আশপাশে। শ্লীলতাহানি ও ‘প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেসেন্স অ্যাক্ট, ২০১২’-এর অধীনে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। হাজিপুর স্টেশনে নামার পর টুন্নাজিকে গ্রেফতার করা হয়। আজ আদালত তাঁকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে।
তবে সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ধৃত বিধান পরিষদ সদস্য। তিনি জানিয়েছেন, হাজিপুরে নামার আগে তিনি ট্রেনের আলো জ্বালিয়ে চার্জে বসানো মোবাইল ফোন খুলে নিতে যান। আলো জ্বালানো নিয়ে আপত্তি করে ওই মেয়েটি। তার পরই চিৎকার করে বাবা-মাকে ডাকে।
এ দিকে, ওই ঘটনার খবর ছড়াতেই অস্বস্তিতে পড়ে বিজেপি। ‘টুইটারে’ দলের নেতা সুশীলকুমার মোদী জানান, টুন্না পাণ্ডেকে দল থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। জেডিইউ অবশ্য এই সুযোগ হারাতে চাইছে না। দলের মুখপাত্র সঞ্জয় সিংহ বলেছেন, ‘‘দলের বিধান পরিষদ সদস্যের বিরুদ্ধে বিজেপি কী রকম শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করে, তা জানার অপেক্ষা করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy