Advertisement
০৬ মে ২০২৪

লালুকে ঠেকাতে উন্নয়নই নীতীশের হাতিয়ার

রাস্তা-ঘাট, সেতুনির্মাণ, হাসপাতাল, শিল্প-কারখানা, তথ্যপ্রযুক্তি—আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সর্ব ক্ষেত্রে উন্নয়নের এমন একটা পরিবেশ তৈরির চেষ্টা নীতীশ করছেন, যা বিহারবাসী নিজের চোখেই প্রত্যক্ষ করতে পারবেন।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

দিবাকর রায়
পটনা শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৭ ০৫:০৩
Share: Save:

বিহার জুড়ে ‘বিশ্বাসঘাতক’ নীতীশের ছবি তুলে ধরতে মরিয়া লালুপ্রসাদ। তার উত্তরে নীতীশ নিজের উন্নয়নমুখী ভাবমূর্তিকে তুলে ধরতে তৈরি হচ্ছেন। রাস্তা-ঘাট, সেতুনির্মাণ, হাসপাতাল, শিল্প-কারখানা, তথ্যপ্রযুক্তি—আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সর্ব ক্ষেত্রে উন্নয়নের এমন একটা পরিবেশ তৈরির চেষ্টা নীতীশ করছেন, যা বিহারবাসী নিজের চোখেই প্রত্যক্ষ করতে পারবেন।

নীতীশের লক্ষ্য, আম-জনতার চোখের সামনে দৃষ্টান্ত তুলে ধরা। ‘পটনা মেট্রো রেল প্রকল্প’-কে একেবারে সামনে তুলে আনতে চাইছেন তিনি। রাজ্যের এক আমলার কথায়, বিহারবাসী কলকাতায় গিয়ে প্রথম মেট্রো রেল দেখেছেন। এখন দিল্লিতে আরও উন্নত মেট্রো তাঁরা দেখছেন। এ বার পটনায় মেট্রো রেল দেখবেন তাঁরা—‘অপনা মেট্রো’।

গত সোমবারই বিহারের জেডিইউ-বিজেপি জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে একটি বিশদ চিঠি পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। সেখানে কেন্দ্রের পূর্ব ঘোষিত ১ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকার ‘বিহার প্যাকেজ’-এর বিশদ রূপরেখা জানিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প দ্রুত রূপায়ণে নীতীশকে উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জেটলি।

আরও পড়ুন: আত্মসমর্পণ নয়, বলেছিল দুজানা

অভিযোগ, রাজ্য জুড়ে মদের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা ছাড়া রাজনৈতিক টানাপড়েনের কারণে গত ২০ মাসে নীতীশ নাকি সে ভাবে কোনও কাজই করতে পারেননি। পরিকাঠামো, স্বাস্থ্য ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র তেজস্বী-তেজপ্রতাপের হাতে থাকায় সরাসরি নীতীশ সেখানে মাথাও গলাতে পারেননি। পাশাপাশি, আর্থিক সহায়তার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারও বিহারের ক্ষেত্রে রাশ টেনে রেখেছিল। সব মিলিয়ে রীতিমতো কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়েই গিয়েছে বিহার।

এ বার বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে গত ২০ মাসের খামতি পূরণ করে নীতীশ কার্যত অগ্নি-পরীক্ষার প্রস্তুতি সেরে নিতে চাইছেন। প্রথম অগ্নি-পরীক্ষা ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন। দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত পরীক্ষা ২০২০ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচন। আজ মন্ত্রিসভার সমস্ত
সদস্য এবং রাজ্যের প্রধান সচিবদের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে বৈঠক করলেন তিনি। সকাল ১১টা থেকে ১টা, মন্ত্রী-পর্যায়ের বৈঠকের পর বিকেল চারটে থেকে শুরু হয় গুরুত্বপূর্ণ দফতরের প্রধান সচিবদের সঙ্গে বৈঠক। শপথ নিয়ে নীতীশ ঘোষণা করেছিলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন পর রাজ্য এবং কেন্দ্রে একই সরকার রয়েছে। উন্নয়নের কাজে এ বার বিহারে গতি আসবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE