Advertisement
E-Paper

বেশি প্রশ্ন করলেই আত্মহত্যা করব, পরীক্ষকদের হুমকি বিহারের ফার্স্ট বয়ের

বিহারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার শীর্ষ স্থানাধিকারী সৌরভ শ্রেষ্ঠের এই কথায় রীতিমতো ঘাবড়ে যান পরীক্ষকেরা।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৬ ১৬:৩৬

‘বেশি প্রশ্ন করবেন না, তা হলে এখানেই আত্মহত্যা করব’। বিহারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার শীর্ষ স্থানাধিকারী সৌরভ শ্রেষ্ঠের এই কথায় রীতিমতো ঘাবড়ে যান পরীক্ষকেরা। বেশি কিছু প্রশ্ন না করেই তাঁকে বাইরে পাঠিয়ে দেন তাঁরা। রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার শীর্ষ স্থানাধিকারীদের নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় শিক্ষা দফতর তাঁদের দ্বিতীয় বার পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পরীক্ষা দিতে আসেননি কলা বিভাগের প্রথম স্থানাধিকারী রুবি রাই। বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম স্থানাধিকারী সৌরভ শ্রেষ্ঠ পরীক্ষা দিতে আসেন। ১৫ জনের একটি বিশেষজ্ঞ দল পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য উপস্থিত ছিলেন। পরীক্ষায় অবজেক্টিভ ও সাবজেক্টিভ দু’ধরনেরই প্রশ্ন ছিল। লেখা পরীক্ষার পর এক এক করে পরীক্ষার্থীদের ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয়। সৌরভও হাজির হন। হলে ঢুকেই পরীক্ষকদের বলেন, “গত কয়েক দিন ধরে মানসিক দিক থেকে খুব চাপে রয়েছেন। উত্তর দেওয়ার অবস্থায় নেই।” এই পর্যন্ত ঠিক ছিল। কিন্তু এর পরেই ঘরে থাকা সব পরীক্ষককে চমকে দিয়ে বলেন, “এমন কিছু প্রশ্ন করবেন না যাতে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হই।” তাঁর এই কথা শুনেই পরীক্ষকেরা ঘাবড়ে যান। তাঁকে জল খাইয়ে বাইরে পাঠিয়ে দেন।

১৫ জনের বিশেষজ্ঞ পরীক্ষকদের মধ্যে ১২ জন ছিলেন সাবজেক্ট এক্সপার্ট এবং তিন জন ছিলেন হ্যান্ডরাইটিং এক্সপার্ট। পরীক্ষা শেষে বিশেষজ্ঞ দলটি জানিয়েছে, বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রীই সঠিক উত্তর দিয়েছে। বিশেষজ্ঞ দলের সবুজ সঙ্কেতের পর উচ্চমাধ্যমিক বোর্ডের অধ্যক্ষ লালকেশ্বর প্রসাদ সিংহ বলেন, “ভাল লেখক ভাল বক্তা হতে পারেন না।” শীর্ষ স্থানাধিকারীদের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি আরও বলেন, “টিভি চ্যানেলের ক্যামেরা দেখে নার্ভাস হয়ে গিয়ে ছেলেমেয়েরা ভুল বলে ফেলেছে।”

রুবি রাই তা হলে কেন পরীক্ষা দিতে এলেন না? এই প্রশ্ন করাতে লালকেশ্বরবাবু বলেন, “শরীর খারাপের জন্য সে পরীক্ষা দিতে পারেনি।”

উচ্চমাধ্যমিকের ফল বেরনোর পর কলা বিভাগের প্রথম স্থানাধিকারী রুবি রাইকে পলিটিক্যাল সায়েন্স কী তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে রুবি বলেন, “এটি একটি রান্না শেখানোর বিষয়।” এ ছাড়াও তিনি পলিটিক্যাল সায়েন্সকে প্রডিক্যাল সায়েন্স বলেন। অন্য দিকে, বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম স্থানাধিকারী সৌরভ শ্রেষ্ঠকে বিজ্ঞান সংক্রান্ত সাধারণ মানের প্রশ্ন করায় যে উত্তর দেন, তাতে গোটা দেশে হইচই পড়ে যায়। প্রশ্ন ওঠে কী ভাবে এঁরা বোর্ডের পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন। তার পরেই নড়েচড়ে বসে রাজ্য শিক্ষা দফতর। ফের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

আরও পড়ুন...

বিহারে ছাত্রছাত্রীদের নকলে সাহায্য করেন শিক্ষকরাই!

Sourav Sresth Bihar Topper
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy