বিজয়লক্ষ্মী দেবনাথ
অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে পুরসদস্যদের দিকে তোপ দাগলেন লালা টাউন কমিটির সদ্যপ্রাক্তন সভাপতি বিজয়লক্ষ্মী দেবনাথ।
দু’দিন আগে বিজেপির অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটাভুটিতে কুর্সি হারান তিনি। ১০ ওয়ার্ডের লালা টাউন কমিটিতে ৮টি ভোট পড়েছিল অনাস্থার পক্ষে। বিপক্ষে ২টি। তার জেরে ক্ষমতাচ্যূত হন পূর্বতন কংগ্রেস পরিচালিত বোর্ডের সভাপতি। আজ লালার বাড়িতে সাংবাদিক বৈঠকে বিজয়লক্ষ্মীদেবী
পুরসদস্যদের বিরুদ্ধে আঙুল তোলেন। তিনি অভিযোগ করেন, পুরসদস্যদের অনৈতিক দাবির কাছে নতিস্বীকার না করার জেরেই তাঁকে ক্ষমতাচ্যূত করা হয়েছে।
বিজয়লক্ষ্মীদেবীর নালিশ, দুর্গাপুজোর আগে শহরের রাস্তার জন্য ৪ গাড়ি জিনিস আসা হয়েছিল। সে জন্য সাড়ে ৪ লক্ষ টাকার বিল করা হয়। তিনি তাতে আপত্তি তোলেন। এর পরই তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশের ‘ষড়যন্ত্র’ করা হয়। বিজয়লক্ষ্মীদেবীর বক্তব্য, চতুর্দশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দ থেকে প্রত্যেক পুরসদস্যকে ৪ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়। তা শহরের উন্নয়নে কাজে লাগাতে বলা হয়েছিল। কিন্তু কোনও কাজ না করে ওই টাকা লোপাট করেন বেশিরভাগ সদস্য। অষ্টাদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দ ১৮ লক্ষ টাকাও একই ভাবে নয়ছয় করা হয়। প্রাক্তন পুরপ্রধানের অভিযোগ, লালা শহরের ‘মাস্টার ড্রেনেজ’ প্রকল্পের টাকার সুদ জমেছিল প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। পুরসদস্যরা তা-ও লোপাট করে দেন।
বিজয়লক্ষ্মীদেবীর অভিযোগ এক কথায় উড়িয়ে দিয়েছেন লালা টাউন কমিটির বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি পুরসদস্য তপন নাথ। তিনি বলেন, বোর্ডের সভাপতি হিসেবে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা উঠিয়েছেন বিজয়লক্ষ্মীদেবীই। টাকা খরচের তদারকিও করেছেন তিনি। তাই কোনও দুর্নীতি হয়ে থাকলে তার দায় প্রাক্তন সভাপতিকেই নিতে হবে। পাল্টা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিজয়লক্ষ্মীদেবীর বিরুদ্ধেই তদন্তের দাবি তুলেছেন তপনবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy