Advertisement
১৬ মে ২০২৪

‘জেটলাই’ বিদ্রুপ নিয়ে নালিশ রাহুলের বিরুদ্ধে

কিন্তু চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডুর অভিমত, রাহুল গাঁধী রাজ্যসভার সদস্য নন। ভূপেন্দ্র তখন ১৯৫৪ সালে এন সি চট্টোপাধ্যায়ের নজির দেখিয়ে বলেন, সংসদের দুই সভা মিলিয়ে একটি যৌথ কমিটি অনায়াসে বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।

অরুণ জেটলি।

অরুণ জেটলি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:৫৮
Share: Save:

এক দিন আগে নরেন্দ্র মোদীর কথা সংসদে গিলতে হয়েছে তাঁকে। সে জন্য রাতেই টুইটে উড়ে এসেছে রাহুল গাঁধীর বিদ্রুপ-বাণ। বৃহস্পতিবার নিজের জন্মদিনে শুভেচ্ছার ঢলের মধ্যেই রাহুল গাঁধীর বিরুদ্ধে অধিকার ভঙ্গের অভিযোগ দায়ের করার নির্দেশ দিলেন অরুণ জেটলি।

গুজরাতে ভোটের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানের সঙ্গে যোগসাজসের অভিযোগ এনেছিলেন মনমোহন সিংহ-হামিদ আনসারির বিরুদ্ধে। এ নিয়ে টানা এক সপ্তাহের বেশি সংসদে অচলাবস্থা চলার পরে গত কাল রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য কার্যত ফিরিয়ে নিয়ে জেটলি বলেন, ‘‘প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও উপরাষ্ট্রপতির দেশভক্তি নিয়ে আমাদের কোনও সংশয় নেই, বরং শ্রদ্ধাবোধই আছে।’’ এ নিয়ে রাতে মোদীকে বিঁধতে গিয়ে জেটলিকেও ‘জেটলাই’ বলে বিদ্রুপ করেন রাহুল। আজ রাজ্যসভায় কুলভূষণ নিয়ে আলোচনা শেষ হতেই বিজেপি নেতা ভূপেন্দ্র যাদব উঠে বলেন, এমন ব্যঙ্গ অরুণ জেটলির অধিকার ভঙ্গের সামিল। রাজ্যসভায় তখন অরুণ জেটলি, অমিত শাহ বসে। কিন্তু চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডুর অভিমত, রাহুল গাঁধী রাজ্যসভার সদস্য নন। ভূপেন্দ্র তখন ১৯৫৪ সালে এন সি চট্টোপাধ্যায়ের নজির দেখিয়ে বলেন, সংসদের দুই সভা মিলিয়ে একটি যৌথ কমিটি অনায়াসে বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।

পরে ভূপেন্দ্র জানান, ‘‘রাহুলের বিরুদ্ধে অধিকার ভঙ্গের অভিযোগ চেয়ারম্যান গ্রহণ করেছেন। সে’টি এ বারে স্পিকারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’’ ঘনিষ্ঠ মহলে জেটলি বলেছেন, রাহুলের বিদ্রুপে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদের বিশ্বাসযোগ্যতাই খর্ব হয়েছে। তাঁর কথাতেই সরকারপক্ষ যেমন প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য কার্যত প্রত্যাহার করেছে, তেমনই আজাদও নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে যাবতীয় ‘কুকথা’ থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছে। সংসদের অচলাবস্থা কাটানোর জন্য সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বিজয় গয়াল মনমোহন সিংহের সঙ্গে বৈঠক করে এই রফাসূত্র বার করেছিলেন। তবে কংগ্রেসের এক নেতার পাল্টা মন্তব্য, ‘‘নিজে অসত্য বক্তৃতা করে তার সাফাই দিতে জেটলিকে এগিয়ে দিয়েছেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী নিজেই তো নিজের অর্থমন্ত্রীর মর্যাদা খাটো করেছেন!’’

কিন্তু বিজেপি সাংসদ ভূপেন্দ্র যাদবের নালিশটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না কংগ্রেস। দলের মতে, জেটলি তো নিজেই সংসদে দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী ঠিক কথা বলেননি। আর রাহুল গাঁধী সেটা সামনে নিয়ে এসেছেন। যদিও আজ জেটলির জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অভিনন্দন পেয়েছেন অর্থমন্ত্রী। সকালে সংসদীয় দলের বৈঠকে মিষ্টিও খাওয়ানো হয় জেটলিকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE