পল্লবী বিকমসে। ছবি: পল্লবীর ফেসবুক থেকে নেওয়া।
এক দিন নিখোঁজ থাকার পর রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হল ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব ইন্ডিয়া (আইসিএআই)-র প্রেসিডেন্ট নীলেশ বিকমসের মেয়ে পল্লবী বিকমসের (২০) দ্বিখণ্ডিত দেহ।
আরও পড়ুন: সেই তাওয়াং, ফের ভেঙে পড়ল বায়ুসেনার কপ্টার, মৃত সাত
পুলিশ সূত্রে খবর, ৪ অক্টোবর সন্ধ্যা পৌনে ৬টা নাগাদ মুম্বইয়ের বালার্ড এস্টেটের অফিস থেকে বেরিয়ে যান পল্লবী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই দিনই সন্ধে ৬টা নাগাদ ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস রেল স্টেশনের (সিএসএমটি) ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দেখতে পাওয়া যায়। সেই প্ল্যাটফর্মে আসা ডোম্বিভলিগামী একটি ট্রেনেও উঠতে দেখা যায় তাঁকে। কারি রোড স্টেশন ঢোকার আগেই নাকি তিনি চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যান। তার পরই সিএসএমটি-গামী একটি ট্রেনে কাটা পড়েন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। সূত্রের খবর, একটি মেয়েকে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যেতে দেখে পাশের কামরার যাত্রীরা রেলপুলিশকে খবর দেন। সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ কারি রোড স্টেশনমাস্টার জিআরপিকে ঘটনাটি জানান। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পল্লবীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পল্লবী বিকমসে।
আরও পড়ুন: যন্তর মন্তরে আর কোনও প্রতিবাদ সভা নয়, নির্দেশ গ্রিন ট্রাইবুনালের
জিআরপি-র ডেপুটি কমিশনার সমাধান পওয়ার বলেন, “সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ খবর আসে কারি ও পারেল রোড স্টেশনের মাঝে রেললাইনের ধারে এক মহিলার দ্বিখণ্ডিত দেহ পড়ে রয়েছে। আমরা একটা দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর মামলা রুজু করি দাদর জিআরপি-তে। তাঁর পরিবারের লোকেরা দেহ সনাক্ত করেছে।”
পল্লবীর পরিবার সূত্রে খবর, ৪ অক্টোবর অফিস থেকে বেরনোর পর বাড়িতে না পৌঁছনোয় বার বার ফোন করা হয় পল্লবীর মোবাইলে। কিন্তু কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। ওই দিনই এমআরএ মার্গ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাঁর আত্মীয়েরা। ওই দিনই সন্ধ্যায় দাদরে একটি মামলা রুজু করে জিআরপি। মৃতের দেহ সনাক্ত করার জন্য পরিবারের খোঁজ চালায় জিআরপি। তার পরই পল্লবীর পরিবারের কাছে খবর যায়। তাঁরা দেহ সনাক্ত করেন। জিআরপি সূত্রে খবর, পল্লবীর বাবা ও ভাইয়ের বয়ান রেকর্ড করেছে তারা। কিন্তু পল্লবীর মৃত্যুতে কোনও সন্দেহ প্রকাশ করে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেননি তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy