ঠিক যেন মধ্যপ্রদেশের গুলাবি গ্যাং। তবে এ ক্ষেত্রে গার্হস্থ্য হিংসা রুখতে মেয়েরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে দল গঠন করেননি। বরং তাঁদের হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়েছেন খোদ রাজ্যের মন্ত্রী। মাতাল স্বামীকে পথে আনতে মধ্যপ্রদেশের অন্তত ৭০০ নব্য বিবাহিতাকে মোগরি বা কাঠের মুগুর (যা দিয়ে কাপড় কাচা হয়) উপহার দিয়েছেন পঞ্চায়েতি রাজ ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গোপাল ভার্গব। ওই কাঠের ‘ব্যাট’-এ লেখা— ‘‘মদ্যপ স্বামীদের পেটানোর জন্য উপহার, পুলিশ কোনও হস্তক্ষেপ করবে না।’’ শনিবার সাগর জেলার গারহাকোটায় এক গণবিবাহের আসরে পরিণীতাদের ওই মুগুর উপহার দেন মন্ত্রী।
গুজরাত-বিহারের পরে এ বার মধ্যপ্রদেশে মদ নিষিদ্ধ করতে উদ্যোগী হয়েছে শিবরাজ সিংহ চৌহানের সরকার। প্রথম দফায় নর্মদার তীরে পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে সব মদের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী গোপাল ভার্গব বলেন, ‘‘যখনই আমার নির্বাচনী এলাকার গ্রাম বা শহরে ঘুরি, মহিলাদের একটাই অভিযোগ থাকে। সেটা হল, তাঁরা যৎসামান্য যা আয় করেন, স্বামীরা মদের জন্য কেড়ে নেন। এবং মদ খেয়ে তাঁদের মারধরও করেন।’’ মন্ত্রীর দাবি, এক মহিলাই তাঁকে বলেছিলেন, কাপড় কাচার মুগুর দিয়ে মদ্যপ স্বামীকে পেটাতে চান তিনি। যদিও প্রথমে আলোচনার মধ্য দিয়েই সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন:সনিয়া ফের সক্রিয়, সুস্থ থাকলে নামবেন প্রচারে
ভার্গব বলেন, ‘‘মদ খেয়ে উপদ্রব সরকার বা পুলিশ কারও একার উদ্যোগে ঠেকানো সম্ভব নয়। সাধারণের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। নিষিদ্ধকরণের আগে এটা বেশি জরুরি। যদি বেশি সংখ্যক মানুষ একযোগে রুখে দাঁড়ায়, তবে সমস্যার সমাধান অনেক সহজে হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy