Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ধর্ষণে বাধা, দাদার হাতে খুন বোন!

সম্পর্কিত দাদা ধর্ষণ করতে চেয়েছিল তাকে। বাধা দিয়েছিল বছর ষোলোর স্কুল ছাত্রীটি। আর সেই রাগে ওই নাবালিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করল অনিল সিংহ নামে এক যুবক। পরে কিশোরীর দেহ সে বাড়ির পাশেই একটা রাস্তার ধারে ফেলে রাখে। গ্রেটার নয়ডার এক গ্রামে গত সোমবারের ঘটনা।

সংবাদ সংস্থা
গ্রেটার নয়ডা শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৬ ০৩:০২
Share: Save:

সম্পর্কিত দাদা ধর্ষণ করতে চেয়েছিল তাকে। বাধা দিয়েছিল বছর ষোলোর স্কুল ছাত্রীটি। আর সেই রাগে ওই নাবালিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করল অনিল সিংহ নামে এক যুবক। পরে কিশোরীর দেহ সে বাড়ির পাশেই একটা রাস্তার ধারে ফেলে রাখে। গ্রেটার নয়ডার এক গ্রামে গত সোমবারের ঘটনা।

পুলিশ জানিয়েছে, গত রবিবার ওই কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল অনিল। সে রাতে ওই বাড়িতেই থেকে যায় সে। সোমবার ওই কিশোরী স্কুল থেকে যখন বাড়ি ফেরে, তখন বাড়িতে আর কেউ ছিল না। সেই সুযোগে মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে অনিল। কিন্তু তাতে বাধা দেয় কিশোরী। ব্যর্থ হয়ে রাগের মাথায় মেয়েটিকে প্রথমে সিঁড়ি থেকে ফেলে দেয় সে। তার পর গলা টিপে তাকে মেরে ফেলে। প্রথমে ওই বাড়িরই একটা ঘরে মেয়েটির দেহ লুকিয়ে রেখেছিল অনিল। পরে তার বাড়ির লোকজন যখন থানায় মিসিং ডায়েরি করতে যান, সেই সময় দেহটি বাড়ি থেকে বার করে পাশের একটা রাস্তায় ফেলে আসে সে। পুলিশ জানিয়েছে, বছর তেইশের অনিল এর আগেও ওই মেয়েটির শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছিল। তা হলে নিহত কিশোরীর বাড়ির লোক কেন অনিলকে তাঁদের বাড়িতে থাকতে দিলেন, সে প্রশ্ন উঠছে। মেয়েটির মা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁরা ভেবেছিলেন অনিল হয়তো শুধরে গিয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, সকাল বেলা উঠে কাজে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বাড়ি ফিরে যখন দেখেন, মেয়ে নেই, তিনি অনিলকে প্রশ্ন করেছিলেন। অনিল তাঁকে জানায় সে কারও জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছে। রাত পর্যন্ত সে না ফেরায় থানায় অভিযোগ জানাতে যান তাঁরা। সেখান থেকে ফেরার পথে রাস্তায় মেয়ের দেহ দেখতে পান তাঁরা।

পুলিশের বক্তব্য, জেরায় নিজের দোষ কবুল করেছে অনিল। এ বারও মেয়েটি তার পরিবারকে সব জানিয়ে দিতে পারে বলে ভয় ছিল তার।
সেই জন্য সম্পর্কিত বোনকে মেরেই ফেলে সে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

MostReadStories
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE