ডেপুটি পুলিশ সুপার এম কে গণপতি এবং কর্নাটকের মন্ত্রী কে জে জর্জ।
ম্যাঙ্গালুরুর ডেপুটি পুলিশ সুপার এম কে গণপতিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে কর্নাটকের মন্ত্রী কে জে জর্জ, এডিজিপি (ইন্টেলিজেন্স) এ এম প্রসাদ এবং আইজিপি প্রণব মোহান্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করল সিবিআই।
আরও পড়ুন: ‘আপনি বিয়ে কবে করবেন?’, রাহুল গাঁধীকে ‘আপার কাট’ বিজেন্দ্রর
২০১৬-র জুলাইয়ে কোদাগুতে সিলিং ফ্যানে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন ৫১ বছরের গণপতি। তখনই অভিযোগ ওঠে প্ররোচনার। মামলাটির তদন্ত শুরু করে রাজ্য পুলিশ। কিন্তু মন্ত্রী ও দুই পুলিশ আধিকারিককে ক্লিন চিট দিয়ে মামলাটি বন্ধ করে দেয় তারা। রাজ্য পুলিশ মামলাটি বন্ধ করে দেওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গণপতির পরিবার। সুপ্রিম কোর্টে তাঁরা দাবি করেন, এই আত্মহত্যার পিছনে ‘চমকে দেওয়ার মতো অনেক তথ্য’ লুকিয়ে আছে। সিবিআই তদন্তের আর্জিও পেশ করেন গণপতির বাবা। আদালত গত মাসে তাঁর আবেদন গ্রহণ করে সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। তিন মাসের মধ্যে তদন্তের রিপোর্টও পেশ করতে বলা হয়েছে তদন্তকারী সংস্থাটিকে।
আরও পড়ুন: মন্ত্রীর সেক্স ভিডিও ফাঁসের ভয়? তোলাবাজির অভিযোগে ধৃত সাংবাদিক
গণপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ভুয়ো এনকাউন্টার এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার বহু অভিযোগ ছিল। তার বিভাগীয় তদন্তও চলছিল। আত্মহত্যার কয়েক ঘণ্টা আগে এক টিভি চ্যানেলে সাক্ষাত্কার দেন তিনি। সেখানে বলেছিলেন, তাঁর মৃত্যু হলে দায়ী থাকবেন বেঙ্গালুরু নগরোন্নয়ন মন্ত্রী কে জে জর্জ। অভিযোগ তোলেন, মন্ত্রী ও দুই পুলিশ আধিকারিক তাঁকে হেনস্থা করছেন। মন্ত্রী পাল্টা দাবি করেন, গণপতি বছর দুয়েক আগে তাঁর সঙ্গে দেখা করে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ করার অনুরোধ করেছিলেন।
সিবিআইয়ের মামলা প্রসঙ্গে জর্জের প্রতিক্রিয়া, “পুরনো মামলা নিয়ে সিবিআই তদন্ত করছে। ওরা ওদের মতো তদন্ত করুক।” এই ঘটনায় কংগ্রেসকে তীব্র ভাবে আক্রমণ করেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা ওয়াই এস ইয়েদুরাপ্পা জর্জের পদত্যাগ দাবি করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy